ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখে লক্ষ টাকা আয় করুন
ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখে লক্ষ টাকা আয় করুন। আমাদের অনেকেরই জানা ওয়েবসাইট থেকে লক্ষ টাকার ও অধিক আয় করা যায়। কিন্তু কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করতে হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা।
পোস্ট সূচিপত্রঃওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখে লক্ষ টাকা আয় করুন
- ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখে লক্ষ টাকা আয় করুন
- ওয়েবসাইট কত প্রকার এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা
- ব্লগার ওয়েবসাইট যেভাবে তৈরি করতে হয়
- ব্লগার ওয়েবসাইট নিস বাছাই
- ওয়েবসাইটে ডোমেনের প্রয়োজন যে কারণে হয়
- ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেন যেভাবে কিনবেন
- ওয়েবসাইট তৈরি থিম কাস্টমাইজ
- ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল যেভাবে লিখবেন
- ওয়েবসাইটে যেভাবে এডসেন্স পাবেন
- শেষ কথাঃ ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখে লক্ষ টাকা আয় করুন
ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখে লক্ষ টাকা আয় করুন
ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখে লক্ষ টাকা আয় করুন এই কথাটি আমাদের অনেকেরই অজানা আবার কিছু সংখ্যক লোক আছে তারা শুধু জানে। ওয়েবসাইট থেকেও লক্ষ টাকার অধিক আয় করা সম্ভব। আমরা তো আর জানিনা কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করতে হয়। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয়।
ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের প্রয়োজন হবে একটি
ওয়েবসাইটের। আর এই ওয়েবসাইট আমাদের তৈরি করা জানতে হবে। আবার
আমরা ওয়েবসাইট তৈরি না করেও ওয়েবসাইটের মালিক হতে পারে। এখন
আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে ওয়েবসাইট নিজে তৈরি না করে কিভাবে
ওয়েবসাইটের মালিক হব।
ওয়েবসাইট তৈরি না করেও ওয়েবসাইটের মালিক হওয়া যায় এটা সত্য। অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেল করে থাকে। আপনি চাইলে তাদের থেকে আপনার নামের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। এই ওয়েবসাইট তৈরির জন্য আপনার কাছ থেকে তারা টাকা নেবে দিয়ে আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করে দেবে।
আর এই ওয়েবসাইটের আরো অনেক কাজ আছে সেগুলো তারাই আপনাকে করে
দেবে। যেমন থিম কাস্টমাইজ কোডিং এগুলো তারা সেই ওয়েবসাইটে করে
দেবে। এতে আপনার কোন কিছু না জানলেও সমস্যা নেই এতে আপনার অনেক সুবিধা
হবে। আর আপনি তো এগুলো কিছুই জানেন না সে ক্ষেত্রে আপনার কোন আইটি
প্রতিষ্ঠান সাহায্য নিয়ে করে নেওয়া ভালো হবে।
ওয়েবসাইট কত প্রকার এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা
ওয়েবসাইট কত প্রকার এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা আমাদের অনেকেরই জানা ও অজানা তথ্য এটা। মূলত ওয়েবসাইট হল ২ প্রকার যেমনঃ
- ব্লগার ওয়েবসাইট
- ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট
ব্লগার ওয়েবসাইটের সুবিধা ও অসুবিধা
ব্লগার ওয়েবসাইটের অসুবিধা হলো এর মালিকানা গুগলের ওপরে থাকবে। আর সুবিধা হল এই ওয়েবসাইট কোন সময় ব্যান্ড হবে না। কারণ গুগলের যে প্রোডাক্ট থেকে ইনকাম হয়। সেই প্রোডাক্ট গুগল কেন ব্র্যান্ড করবে। যেমন ইউটিউব হল গুগলের প্রোডাক্ট ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে থাকে গুগল সেই জন্য ইউটিউব কোনদিন ব্র্যান্ড হবেনা তেমনি ব্লগার ওয়েবসাইটও ব্যান্ড হবে না।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের সুবিধা ও অসুবিধা
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের সুবিধা হল এর সম্পূর্ণ মালিকানায় আপনি থাকবেন। আর অসুবিধা হলো এটি কোন গুগলের প্রোডাক্ট নয় তাই আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ক্রাইম যুক্ত কোন কাজ করে থাকেন তাহলে এই ওয়েবসাইট যেকোনো সময় ব্র্যান্ড হয়ে যেতে পারে। আর ঠিক হবে না সম্পূর্ণভাবেই এই ওয়েবসাইট ডিলেট হয়ে যাবে।
ব্লগার ওয়েবসাইট যেভাবে তৈরি করতে হয়
ব্লগার ওয়েবসাইট যেভাবে তৈরি করতে হয় এটা হল আমাদের অনেকেরই অজানা একটি বিষয় আবার অনেকে আছেন কিভাবে ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় জানে। তো আমরা এখন কিভাবে ব্লগার ওয়েবসাইট খুলব। তো চলুন আমরা দেখে নিই কিভাবে আমরা ব্লগার ওয়েবসাইট খুলব। আপনারা তাহলে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন কোন ওয়েবসাইট খুললে ভালো হবে।
তাই আমরা ব্লগার ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা শিখব এখন।আমাদের এখন ক্রোম ব্রাউজারে ঢুকতে হবে, দিয়ে সার্চ করতে হবে Blogger.com কম লিখে তারপরে CREATE YOUR BLOG এ ক্লিক করতে হবে। এরপরে লেখা থাকবে title সেখানে আপনার টাইটেল দিবেন তারপরে লেখা থাকবে address.
আপনি যে টাইটেল দিয়েছেন ওইটাই এড্রেস দিবেন কোন স্পেস দিবেন না এখানে দিয়ে নিচে দেখাবে এটা এভেলেবেল নেই তার সাথে আপনি আরো দুই তিনটা সংখ্যা জুড়ে দিন যেমন bd 07 যেকোনো কিছু তারপরে ওটার একটা নাম দিন।দিয়ে ফিনিশ করে দিন তাহলে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে যাবে।
ব্লগার ওয়েবসাইট নিস বাছাই
ব্লগার ওয়েবসাইট নিস বাছাই আমাদের অনেকেরই অজানা তথ্য নিস এটি আবার কি। নিস হল বিষয় যেমন আমি একটা নিস অ্যান্ড্রয়েড, তথ্যপ্রযুক্তি ,স্বাস্থ্য সেবা,অনলাইনে ইনকাম ইত্যাদি মূলত এইগুলো হলো নিস। তো আপনারা এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে নিস কি মিস হলো বিষয় যে কোন কিছু নিস হতে পারে তা ইতিমধ্যে আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করবেন
এখন ধরুন স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে যদি লেখেন স্বাস্থ্যসেবা বলতে গেলেও অনেক কিছু বোঝায় ধরুন একজনার জ্বর হয়েছে কি ওষুধ খেলে ভাল হবে এগুলো তো আপনি ডাক্তারের থেকে ভালো বলতে পারবেন না তাই এগুলো বিষয়ে না রাখাই ভালো। আর এগুলো বিষয়ে লিখতে হলে আপনাকে অনেক গবেষণা করতে হবে। তাই এই সব বিষয়ে না রাখাই ভালো হবে আপনার।
আর আপনার যা কিছু ভালো লাগে সেগুলো যদি আপনি লেখেন তাহলে কাজ আর কাজ মনে হবে না খেলা মনে হবে। তাই আপনার যে বিষয়ে জ্ঞান আছে বা ধারণা আছে সেই বিষয়ে আপনি ব্লগার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট লিখে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন। তো আমরা এখন নিচে দেখব কি কি কাজ আছে এখনো ব্লগার ওয়েবসাইটে সেইসব জানবো।
ওয়েবসাইটে ডোমেনের প্রয়োজন যে কারণে হয়
ওয়েবসাইটে ডোমেনের প্রয়োজন যে কারণে হয় তা আমাদের অনেকেরই অজানা একটি তথ্য। আবার অনেক মানুষ জানে যে ওয়েবসাইট তৈরি করার পরে ডোমেইন সেটআপ দিতে হয়। তো আমরা আজ সেই সব বিষয় সম্পন্নভাবে না তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করব। ডোমেন কি কেন সেটা করবেন সেই সব বিষয় দেখব এই কনটেন্টের মধ্যে।
দেশি ও বিদেশী ডোমেইন কোম্পানির পার্থক্য দেশি কোম্পানির ডোমেইন ভালো হয় না। এর কারণ হলো দেশে কোম্পানির ডোমেনে স্পিড খুব স্লো থাকে। আর দেশি কোম্পানি থেকে যদি ডমেন কিনে তাহলে ওই ডোমেইন ওয়েবসাইটে সেট করার পরে আমি যদি কোন ক্রাইম যুক্ত কনটেন্ট লেখালেখি করি তাহলে যেকোনো সময় আমার ওয়েবসাইট ব্যান্ড করে দিতে পারবে।
আর বিদেশি কোম্পানির থেকে ডোমেন কিনলে আমি যদি খারাপ কিছু কনটেন্ট লেখে ।তাহলে এই দেশের সরকার ওই দেশের সরকারকে আবেদন করবে ।আমার ওয়েবসাইট বন্ধ করার জন্য ।আর আমার ওয়েবসাইট থেকে যেহেতু ইনকাম হচ্ছে এই জন্য এই ওয়েবসাইট বন্ধ করবে না এটা হলো পার্থক্য।
ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেন যেভাবে কিনবেন
ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেন যেভাবে কিনবেন এটা আমাদের কাছে অজানায় একটি বিষয়। আবার অনেকেই জানে যে কিভাবে ডোমেন কিনতে হয়। সেই বিষয়ে আমরা এখন আলোচনা করছি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। যে কিভাবে ওয়েবসাইটের জন্য কিনবেন। এখন আপনাদের মধ্যে প্রশ্ন আসতে পারে ডোমেইন কোথা থেকে আমরা কিনব।
ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন যে দেশি কোম্পানি ভাল না বিদেশি কোম্পানি ভালো। তো আমরা একটা জিনিস ব্যবহার করব তার ভালো-মন্দ জেনেই তো আমরা সেই জিনিসটা কিনব তাই না। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে দেশি কোম্পানির ডোমেন ভালো। তাই আমরা বিদেশী কোম্পানির কিনব। কোথা থেকে এই বিদেশ কোম্পানি আলোচনা করবো এখন।
ডোমেইন কেনার জন্য নিমচিপ এটি একটি জনপ্রিয় ডোমেইন বিক্রেতা ওয়েবসাইট। আপনি চাইলেই নিমচিপ থেকে ডোমেন কিনতে পারেন। ড্রোমেনের দাম ১০ ডলার ২৮ সেন্ট। আর তোমার কেনার জন্য আপনাকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড থেকে পেমেন্ট করতে হবে নইলে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন না যেহেতু এটা আমেরিকান কোম্পানি তার জন্য।
ওয়েবসাইট তৈরি থিম কাস্টমাইজ
ওয়েবসাইট তৈরি থিম কাস্টমাইজ করতে হয় এই কথাটি আমাদের অনেকেরই অজানা। আবার যাদের ওয়েবসাইট আছে যারা শুরু থেকে জানে তারা কিন্তু জানে ওয়েবসাইট তৈরি করার পর থিম কাস্টমার করতে হয়। থিমটা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার ওয়েবসাইট কেমন দেখাবে কোথায় কি রাখবেন কিভাবে সাজাবেন তার জন্য থিমের প্রয়োজন হয়।
তো কিভাবে এই থিম কাস্টমাইজ করতে হয় তা আমরা জানিনা। সেটাই আমরা জানবো যে রকম ভাবে থিম কাস্টমার করলে ভালো দেখাবে। তো চলুন আমরা জেনে নেই কিভাবে থিম কাস্টমাইজ করতে হয়। লেআউট এ যে এম কাস্টমার করতে হবে। হেডিং মেন মেনু social icon এগুলো চেঞ্জ করতে হবে। মানে মেন মেনু তে আপনি যে সব ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করতে চান ওইগুলোলিখবেন আর social icon এ আপনার ফেসবুক একাউন্টের লিংক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের লিংক ও ইউটিউব চ্যানেলের লিংক সেট করবেন তাহলে হয়ে যাবে। এখন আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে থিম কাস্টমার কিভাবে করতে হয় কিভাবে লিংক সেটাপ করতে হয়। আরো অনেকগুলো কাজ আছে যা আপনারা এই কনটেন্ট পুরোটা পড়লে বুঝতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল যেভাবে লিখবেন
ওয়েবসাইটে যেভাবে এডসেন্স পাবেন
ওয়েবসাইটে যেভাবে এডসেন্স পাবেন আমাদের অনেকেরই অজানা এই কথাটি যে এডসেন্স। আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন সবকিছু কাস্টমাইজ করলেন কন্টেন লিখলেন তাও আপনি টাকা পাবেন না যদি আপনার ওয়েবসাইটে এড সেন্ড সেটআপ না থাকে। তো এখন আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে এডসেন্স কতটা জরুরি একটি জিনিস।
আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স সেটাপ দিলেই টাকা পাবেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন
আসতেই পারে এডসেন্সের মাধ্যমে কিভাবে টাকা হয়। যখন আপনি কোন কন্টেন্ট
পাবলিশ করবেন। দিনে অনেকগুলো ভিজিটর আসবে আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট গুলো
পড়বে। তখন সেটা মনিটাইজেশন করার হয়। তারপরে এডসেন্সের জন্য
এপ্লাই করতে হবে।
আর এই এডসেন্স এর কোডটা আপনার ওয়েবসাইটের লে-আউটে যে বসাতে হবে। তারপরে গুগল থেকে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এ যে কোন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করবে আর এই বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে আপনার ইনকাম হবে। আরে এডসেন্সের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা যায়। ইতিমধ্যেই অনেক মানুষ করে থাকে।
শেষ কথাঃ ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখে লক্ষ টাকা আয় করুন
ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখে লক্ষ টাকা আয় করুন তো ইতিমধ্যে আপনাদেরকে আমি বলেছি কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে লাখ টাকার অধিক আয় করা যায়। আপনারা যদি এই কনটেন্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আপনারা চাইলেই ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখে লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন।
আমি আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েছেন এবং বুঝতেও পেরেছেন। যে কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে লক্ষ টাকা আয় করা যায়। এতক্ষণ এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আর আপনাদের সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাব আপনাদের জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে আজ এতটুকুই।
এসআর এটুজেড এরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url