বাংলাদেশ থেকে সিকিম ট্যুর প্যাকেজ
বাংলাদেশ থেকে সিকিম ট্যুর প্যাকেজ এই প্রশ্নটা সবার মাথায় আসে
আগে। কারন আমরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঘুরতে যাব সবার আগে বাজেটের কথা মাথায়
রাখতে হবে আমাদের। আর সিকিম হল অনেক সুন্দর একটি রাজ্য সেখানে বরফ পড়ে।
বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ভিসার প্রয়োজন হবে
বাংলাদেশ থেকে সিকিমের যেয়ে থাকবেন কোথায়
সিকিমে ঘুরে বেড়ানোর জন্য কি পারমিদের প্রয়োজন হয়
দ্বিতীয় দিন সিকিমের লাচেন থেকে লাচুং ঘুরতে যাবেন
তৃতীয় দিন সিকিমের লাচুং থেকে ইয়াংথাং ভ্যালি ঘুরতে যাবেন
চতুর্থ দিন সিকিমের গ্যাংটক শহরে থাকবেন
আর এই বরফ ইরোপ কান্টিতে পড়ে। তারপরে ভারতবর্ষে কাশ্মীর সিকিম
লাদাখ মালানি এইসব জায়গাও বরফ পড়ে পড়ে। কিন্তু ওই সব জায়গায় ঘুরতে
যাবার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। আর বাংলাদেশ থেকে কম টাকার মধ্যে
সিকিমে ঘুরে আসা যায়।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে সিকিম ট্যুর প্যাকেজ
- বাংলাদেশ থেকে সিকিম ট্যুর প্যাকেজ
- বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ভিসার প্রয়োজন হবে
- বাংলাদেশ থেকে সিকিমের যেয়ে থাকবেন কোথায়
- সিকিমে ঘুরে বেড়ানোর জন্য কি পারমিদের প্রয়োজন হয়
- সিকিমের গ্যাংটক থেকে লাচেন ঘুরতে যাবেন প্রথম দিন
- দ্বিতীয় দিন সিকিমের লাচেন থেকে লাচুং ঘুরতে যাবেন
- তৃতীয় দিন সিকিমের লাচুং থেকে ইয়াংথাং ভ্যালি ঘুরতে যাবেন
- চতুর্থ দিন সিকিমের গ্যাংটক শহরে থাকবেন
- বাংলাদেশ থেকে সিকিমের ট্যুরের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে সিকিম ট্যুর প্যাকেজ
বাংলাদেশ থেকে সিকিম ট্যুর প্যাকেজ
বাংলাদেশ থেকে সিকিম ট্যুর প্যাকেজ এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এই
প্রশ্ন সবার মাথায় আসে আর এই প্রশ্ন আসাটাও স্বাভাবিক। কারণ আপনি এক
জায়গায় ঘুরতে যাবেন সেটা আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে। সেই জায়গা যদি
অনেক দূরে হয় আর আপনার বাজেট যদি কম থাকে। তাহলে আপনি ওইখানে যেতে পারবেন
না। শুধুমাত্র আপনার বাজেট কমের জন্য আপনি যেতে পারবেন না।
সেজন্যই কোথায় ঘুরতে যাওয়ার পূর্বে বাজেট একটু বেশি প্রয়োজন হয়। এর কারণ
হলো আপনি কোথাও টাকা নিয়ে গেলে একবারে নিয়ে যাবেন আপনি কিন্তু সেখান থেকে এসে
আবার যেতে পারবেন না সেজন্য একবারে নিয়ে যেতে হবে। আর আপনার যদি টাকা বেঁচে
যায় তাহলে আপনি সেগুলো দিয়ে কিছু কিনতে পারবেন বা বাড়িতে নিয়ে আসতে
পারবেন। আর আপনার যদি আরো টাকার প্রয়োজন হয়।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে
তাহলে কিন্তু আপনি আর টাকা নিতে পারবেন না। এর কারণ হলো আপনি টাকা নিতে গেলে
আপনাকে আবার বাড়িতে আসতে হবে আর বাড়িতে আসলে আবার যেতে হবে। তাই আপনাকে যা
টাকা নিবার একবারে নিয়ে যেতে হবে। তো এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে
আপনাদের বাহিরে ট্যুর করতে গেলে কেমন টাকার প্রয়োজন পড়বে। তো আমি এখন
আপনাদের বলবো যে বাংলাদেশ থেকে সিকিম ট্যুর প্যাকেজ কত পড়তে পারে।
বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবার জন্য আপনার ৩০ হাজার বাংলাদেশী টাকা হলে আপনি
সিকিম থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। আগে আরো কম নিয়ে গেলেও ঘুরে আসা
যেত। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে এখন আর কম টাকা নিয়ে গেলে আপনি ঘুরে আসতে
পারবেন না। এর কারণ হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থার খুবই খারাপ
বর্তমান সময়ে যার কারণে আপনি অল্প টাকা নিয়ে গেলে ঘুরে আসতে পারবেন
না।
আগে বাংলাদেশে ১০০ টাকা সমান ভারতের ৮০ টাকা বা ৮৮ টাকা পর্যন্ত পাওয়া
যেত। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি অবস্থান এখন খুবই খারাপ এখন আপনি ৭০ থেকে
৬৮ টাকা পাবেন ১০০ টাকার বিনিময়ে। সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি ৩০ হাজার টাকা
নিয়ে যান সেখানে। তাহলে আপনি ২১ হাজার টাকা পাবেন ভারতীয়। আর এই ২১
হাজার টাকা হলে আপনি সিকিম থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। আর এই কনটেন্টটি
পুরো পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন। কোথায় কিভাবে খরচ করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ভিসার প্রয়োজন হবে
বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ভিসার প্রয়োজন হবে এই
কথাটি একদম সত্য। এর কারণ হলো ভারত একটি অন্যরাষ্ট্র আর বাংলাদেশ অন্য
রাষ্ট্র। আর এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাবার জন্য আপনাকে পাসপোর্ট ও ভিসার
প্রয়োজন হবে। আর এর জন্য আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার মেয়াদ ন্যূনতম
৬ মাস থাকতে হবে। এবং তার সাথে আপনার ভারতীয় ভিসা থাকতে হবে।
তারপরে আপনি যে কোন বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে হবে। আর সবার আগে
দেখতে হবে আপনি কোন বিভাগের নাগরিক। কারণ ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ আর
আমাদের তিন দিক দিয়ে ভারতের সীমানা একদিনের সমুদ্র। আপনি কোন বিভাগের
নাগরিক এর কারণ হলো কোন দিক দিয়ে আপনার কাছে হবে সেই স্থল বন্দর দিয়ে আপনি
পার হলে যেতে পারবেন তার জন্য। আপনি যদি বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে পার হয়ে
থাকেন।
তারপর আপনাকে সর্বপ্রথম ইমিগ্রেশন কাস্টম শেষ করে আপনাকে যেতে হবে
কলকাতা। তে এক রাত থাকতে হবে সেখানে গিয়ে আপনাকে আপনার রুম ভাড়া ৫০০
টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন আপনি আপনার থাকার রুম। তারপর
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আপনি হাওড়া রেল স্টেশনে চলে যাবেন। আর সেখান থেকে
আপনাকে ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে এনজিপি রেলস্টেশনের জলপাইগুড়ি।
আর এই টিকিট আপনার ৬ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। দিয়ে আপনাকে সেখানে
নেমে যেতে হবে তারপরে আপনি সেখান থেকে বাসে করেও আবার টেক্সি করে
সিকিমের গ্যাংটক এ যেতে পারেন। আর মূলত সিকিমের গ্যাংটক এ আপনাকে
একটি রাত থাকতে হবে। আর সেখান থেকে মূলত আপনার ট্যুর শুরু হবে।
বাংলাদেশ থেকে সিকিমের যেয়ে থাকবেন কোথায়
বাংলাদেশ থেকে সিকিমের যেয়ে থাকবেন কোথায় আর এই প্রশ্নটি আমাদের সবার
মাথায় আসে। আর এই প্রশ্নগুলো আশাও স্বাভাবিক। এর কারণ হলো
আপনি এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাবেন। যে কোথায় আপনি রাতে ঘুমাবেন
খাওয়া-দাওয়া করবেন। এইগুলো তো আপনাকে আগেই খোঁজখবর নিয়ে যেতে
হবে। তা না হলে আপনি তো অসুস্থ হয়ে পড়বেন। আর আপনি যদি অসুস্থ হয়ে
পড়েন তাহলে আপনি ঘুরবেন কোথায়।
সেই জন্য আমাদেরকে সবার আগে থাকার জায়গা ব্যবস্থা করতে হবে। আর আপনি খাবার
জায়গা পেয়ে যাবেন। কারণ সব জায়গায় খাওয়ার জায়গা এভেলেবেল
রয়েছে। কিন্তু থাকার জায়গাই অ্যাভেলেবল নেই।। আর আপনি
সিকিমে অনেক থাকার জায়গা পেয়ে যাবেন। সিকিমের রাজধানী হলেও গ্যাংটক
আর গ্যাংটকে এমজি মার্ক হল সবথেকে বড় বাজার।
আর এই বাজারে আপনি অনেকগুলো হোটেল পেয়ে যাবেন যেখানে আপনি রাতে থাকতে
পারবেন। তার জন্য আপনাকে রুম ভাড়া দিতে হবে। আর এই রুম ভাড়া আপনি
আপনার বাজেটের মধ্যে পেয়ে যাবেন। সিকিমের মূলত রুম ভাড়া শুরু হয়। আর
সিকিমের রুম ভাড়া শুরু হয় ৮০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আপনি রুম পেয়ে
যাবেন। এটা ডিপেন্ড করবে আপনি কেমন রুমে থাকবেন সেই মোতাবেক আপনি আপনার রুম
নিবেন।
সিকিমে ঘুরে বেড়ানোর জন্য কি পারমিদের প্রয়োজন হয়
সিকিমে ঘুরে বেড়ানোর জন্য কি পারমিদের প্রয়োজন হয় হ্যাঁ এই কথাটি
সত্য। আপনি সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক যাওয়া পর্যন্ত আপনার কোন রকম পারমিট এর
প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু আপনি গ্যাংটক যাবার পরে বিভিন্ন
জায়গায় ঘোরাঘুরি করার জন্য আপনার পারমিটের প্রয়োজন পড়ে। তো এ
পারমিট করতে আপনার কত টাকা প্রয়োজন পড়বে কি কি কাগজ বা ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন
পড়বে সেগুলো তো আপনি জানেন না।
তো চলুন আমরা জেনে নেই যে কি কি কাগজ বা ডকুমেন্ট লাগতে পারবে বা কত টাকা লাগবে
এই পারমিট এর জন্য। কত আপনার পারমিট করার জন্য আপনার পাসপোর্ট
ভিসার স্ক্যান কালার কপি লাগবে। তারপরে আপনার আইডি কার্ড এর স্ক্যান
কালার কপি লাগবে আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন পড়বে আর সাথে ২০০
টাকার প্রয়োজন পড়বে এই পারমিটের জন্য।
তো আপনি জেনে গেলেন নিশ্চয়ই যে পারমিট করার জন্য কি কি কাগজ লাগবে। কিন্তু
এখন আপনাকে জানতে হবে যে এই পারমিট টা আপনি কোথা থেকে করাবেন। নিজেই হোটেলে
রাত যাপন করবেন সেই হোটেলের লোকদের বললেই পারমিট করে দেবে। আর আপনি যদি
তাদের দিয়ে না করান তাহলে কোন ট্যাক্সি বা কারের ড্রাইভার কে দিয়েও আপনি
এই পারমিট করিয়ে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে রাতে কাগজ জমা দিতে হবে আর
সকালে আপনি আপনার পারমিট পেয়ে যাবেন।
সিকিমের গ্যাংটক থেকে লাচেন ঘুরতে যাবেন প্রথম দিন
সিকিমের গ্যাংটক থেকে লাচেন ঘুরতে যাবেন প্রথম দিন এর কারণ হলো
এখান থেকেই যাত্রা শুরু হয় সিকিমের। আর আপনি সকালে কোন একটি হোটেলে আপনি
আপনার ব্রেকফাস্ট করে নিতে পারবেন। তারপর আপনাকে গাড়িতে উঠতে হবে। আর
লাচেন জায়গা অনেক সুন্দর। আর আপনি রাস্তায় দেখতে পাবেন সেভেন সিস্টার
ওয়াটারফল এবং লাচেন রিভার ইত্যাদি আরো অনেক কিছু দেখতে পাবে না আপনি রাস্তার
মধ্যে।
তারপরে আপনাকে সেখানে ঘুরে ঘুরে আপনি দেখবেন। এবং ফটোশুট ও ভিডিও করতে
পারবেন সেইখানে। তার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট সময় দিয়ে দিবে তারা। আর
এই ঘুরে বেড়ানোর জন্য আপনার পাঁচ থেকে ছয়শ টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে কার ভাড়া
শেয়ারিংয়ে। আপনি যদি একাই যান তাহলে আপনার অনেক টাকা লেগে যাবে পাঁচ থেকে
ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত। আর আপনি যদি শেয়ারিং এ যান তাহলে আপনার খরচ কম
হবে।
যেমন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে আপনার হয়ে যাবে। তাই আপনার উচিত হবে
শেয়ারিং এর ট্যুর করা তা নাহলে আপনার পাঁচ ছয় হাজার টাকা লেগে
যাবে। তারপরে এগুলো ঘোড়া শেষ হয়ে গেলে আপনি চলে আসবেন নাচেনের হোটেলে
সেখানে আপনি রাতে খাবার খাবেন কোন এক হোটেল থেকে। আর সেখানেও আপনি
অনেকগুলো রাতে থাকার জন্য অনেকগুলো থাকার রুম পেয়ে যাবেন। যাও আপনি
ছয় থেকে সাতশোর মধ্যে পেয়ে যাবেন।
দ্বিতীয় দিন সিকিমের লাচেন থেকে লাচুং ঘুরতে যাবেন
দ্বিতীয় দিন সিকিমের লাচেন থেকে লাচুং ঘুরতে যাবেন কারণ দ্বিতীয় দিন
এখান থেকে যাত্রা শুরু হয়। লাচেন থেকে লাচুং এর উদ্দেশ্যে দ্বিতীয়
দিনের জন্য যাত্রা শুরু হয়। আর এইখানে আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে আগেভাগে
উঠবেন। তারপরে আপনি আপনার ব্রেকফাস্ট করে নিবেন কোন এক হোটেলে। আর
এই লাচেন থেকে লাচুং এর উদ্দেশ্যে। আর আপনি রাস্তায় অনেক সুন্দর
সুন্দর জায়গা দেখতে পাবেন ঢাকা পুরো পাহাড়।
আর এইগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক সুন্দর। আপনি যদি একবার চান সেখানে তাহলে
আপনি প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাবেন। আপনি তখন মনে মনে যে প্রকৃতিও এত
সুন্দর হতে পারে বাইরে না আসলে আমি জানতেই পারতাম না। তখন আপনার মন চাইলে যে
প্রতি বছর সেখানে যেতে এবং কিছুদিন সেখানে কাটাতে অনেক ইচ্ছা। তার জন্য সব মানুষ
তৈরি করতে যাওয়া উচিত।
এর কারণ হলো আপনি ঘুরলে অনেক কিছু শিখবেন। যা কিছু আপনি বই পড়ে অর্জন না
করতে পারবেন তা আপনি বাস্তব জীবনেই ঘুরে বেড়িয়ে অর্জন করতে পারবেন। এর ফলে
আপনার মানসিক শান্তি ও মন মানসিকতা অনেক ভালো থাকবে। আর লাচুং থেকে
গুরুদ্বার লিখে শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের অনুমতি আছে দেখবার জন্য তাছাড়া
বিদেশি কোন লোকদের অনুমতি নেই।
তৃতীয় দিন সিকিমের লাচুং থেকে ইয়াংথাং ভ্যালি ঘুরতে যাবেন
তৃতীয় দিন সিকিমের লাচুং থেকে ইয়াংথাং ভ্যালি ঘুরতে যাবেন এবং অনেক ইনজয়
করবেন সেখানে। তৃতীয় দিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আপনাকে ফ্রেশ হয়ে গাড়ির
কাছে চলে আসতে হবে। তারপরে রাস্তায় যেতে যেতে আটটা সাড়ে আটটার দিকে আপনি
আপনার ব্রেকফাস্ট ছেড়ে নেবেন রাস্তার পাশের যেকোন দোকান থেকে। তারপরে গাড়িতে
আবার উঠবেন দিয়ে চলে যাবেন ইয়াংথং ভ্যালির উদ্দেশ্যে রওনা
দিবেন।
আর এই ইয়াটাং ভ্যালি হল খুব সুন্দর একটি জায়গা। সেখানে হল বিভিন্ন রকমের
ফুল রয়েছে আর অনেক উঁচুচু গাছ রয়েছে। আপনি বিশ্বাসই করবেন না যে পাহাড়ের
মধ্যেও এত সুন্দর একটি ফুলের বাগান রয়েছে। আর সেই বাগানের প্রবেশ মূল্য ২০
টাকা। আপনি সেখানে দেখবেন অনেক হাজার হাজার প্রজাতির ফুলের গাছ। যেগুলো
ফুল আপনি কোনদিন চোখেই দেখেননি। সেই সকল ফুল আপনি দেখবেন।
আর ইয়াং ফ্যান ভ্যালি অনেক সুন্দর। সেখানে অনেকগুলো গাছ রয়েছে এবং
তাছাড়াও যতগুলো ফুলের গাছ রয়েছে আট পাহাড়ের মধ্যে এত সুন্দর একটি
জায়গা। আর অনেক প্রজাতির পাখির আওয়াজও শুনতে পাবেন ও দেখতে পাবেন আর
পাহাড়ের মধ্যে আপনি এত সুন্দর একটি জায়গা দেখলে অবশ্যই প্রকৃতির প্রেমে পড়ে
যাবেন। আর এই ইয়াং ভ্যালি থেকে গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে আবার রওনা দিতে
হবে।
চতুর্থ দিন সিকিমের গ্যাংটক শহরে থাকবেন
চতুর্থ দিন সিকিমের গ্যাংটক শহরে থাকবেন এর কারণ হলো আপনাকে আসতে আসতে বিকেল
হয়ে যাবে। সেজন্যই আপনি চতুর্থ দিন গ্যাংটকের রাত্রি যাপন করবেন। আপনি
যেহেতু বিকালে আসবেন সেহেতু আপনি এমজি মার্ক পুরোটা ঘুরে দেখতে
পারবেন। আবার এমজি মার্ক রোপওয়ে আছে সেগুলোতে চড়ে আপনি গ্যাংটক শহর
ঘুরতে পারবেন। এবং গ্যাংটক শহরের অনেক জায়গায় আপনি দেখতে পারবেন।
আরো পডুনঃ
ঘরে বসে ১০টি উপায়ে অনলাইন থেকে আয় করুন
আর যখন সন্ধ্যা লেগে যাবে তখন আপনি বেরিয়ে পড়বেন গ্যাংটক শহরের রাতের বেলা
দেখতে কেমন। সেগুলো মার্কেট আপনি ঘুরে ঘুরে দেখতে পারবেন। আবার আপনার
মন চাইলে সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া করবেন। তারপরে আপনার খাওয়া দাওয়া শেষ
করে আপনি এমজি মার্কেট থেকে শপিং করতে পারেন আপনার বাড়ির জন্য। বা আপনার
নিজের জন্য সেখানে অনেক ভালো ভালো।
শীতের পোশাক পাওয়া যায় এমজি মার্কেটে। যেহেতু স্মৃতি মূলক শীত
প্রধান রাজ্য সেখানে যেহেতু সবসময় মাইনাস টেম্পারেচার থাকে তার জন্য
সেখানে স্নো বা বরফ পড়ে সেই জন্য সেখানকার শীতের পোশাক খুবই
উন্নতমানের। এগুলোর দামেও কম মানেও ভালো। তাই আপনার যদি পছন্দ হয়
তাহলে আপনি সেখান থেকে শীতের পোশাক কিনে আনতে পারবেন।
আবার সেখানে কাশ্মীরের সাল ইত্যাদি আরো অন্য কিছু পেয়ে যাবেন আপনি আপনার মন
পছন্দ। তারপর আপনার কেনাকাটা শেষ হয়ে গেলে সেখানে রাত কাটিয়ে। পরের
দিন সকালে গ্যাংটক থেকে জলপাইগুড়ি এনজিপি স্টেশনে চলে আসবেন। তারপর সেখান
থেকে আপনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। আর কলকাতা যাওয়ার পরে আপনি
বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করবেন।
বাংলাদেশ থেকে সিকিমের ট্যুরের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
বাংলাদেশ থেকে সিকিমের ট্যুরের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর অনেকেরই প্রশ্ন
রয়েছে। কারণ আপনি এক জায়গায় যাবেন কি খাবেন না থাকবেন সেগুলো আপনার মনে
প্রশ্ন আসতে পারে। আর এই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক ব্যাপার। আর এইগুলো
বিষয়ে আপনার খুবই জানা প্রয়োজন। এগুলো না জানলে আপনি কিভাবে সেখানে চেয়ে
থাকবেন ঘুরবেন ফিরবেন। তো চলুন আমরা জেনে নিজেও আপনার কি কি প্রশ্ন থাকতে
পারে ও তার উত্তর।
- প্রশ্নঃ সিকিমের কিভাবে যাব?
- উত্তরঃ প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে স্থল বন্দর বা বিমান পথে ভারতে প্রবেশ করতে হবে তারপর আপনাকে টেনে করে বা প্লেনে করে জলপাইগুড়ি এনজিপি স্টেশনে যেতে হবে সেখান থেকে কার বা বাসে করে আপনি সিকিমের গ্যাংটক এ যেতে পারবেন।
- প্রশ্নঃ বাংলাদেশী টাকা কিভাবে ভারতীয় টাকায় কনভার্ট করব?
- উত্তরঃ প্রথমে আপনাকে বর্ডার ক্রস করার পরে। কিছু সাইডে দেখবেন অনেকগুলো লোক বসে আছে। তারা মূলত টাকা কনভার্ট করে থাকে সেখান থেকে আপনি আপনার টাকা কনভার্ট করতে পারবেন। আর আপনি যদি কার্ডে করে টাকা নিয়ে যান এটিএম কার্ড হলে হবে না আপনাকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড লাগবে সেই কার্ডের ডলার ঢুকিয়ে সেখানে যে কোন একটি বুথ থেকে আপনি ডলার টু ভারতীয় রুপি তুলতে পারবেন।
- প্রশ্নঃ ভারতীয় টাকার রেট কত বর্তমান সময়ে?
- উত্তরঃ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ অর্থনীতির দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে আছে সে জন্যই বাংলাদেশের ১০০ টাকা সমান ভারতের ৭০ টাকা পাচ্ছে।
- প্রশ্নঃ সিকিমে ঘোরার জন্য কি পারমিটের প্রয়োজন পড়ে?
- উত্তরঃ হ্যাঁ এটা সত্য যে সিকিমের ঘোরাঘুরি করার জন্য পারমিট এর প্রয়োজন পড়ে।
- প্রশ্নঃ পারমিট করার জন্য কি কি কাগজ লাগে?
- উত্তরঃ আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি এবং ভোটের আইডি কার্ডের স্ক্যান কপি এবং আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দরকার। মূলত এগুলো হলে আপনি সিকিমের পারমিট করতে পারবেন। যেহেতু চীনের সীমানাবর্তী রাজ্য সিকিম সেজন্য সেনা পাহারা থাকে তার জন্য প্রয়োজন হয়।
তো আপনাদের মনে কি কি প্রশ্ন থাকতে পারে সেগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা
করলাম। আর সিকিম একটি খুব সুন্দর জায়গা। যেখানে আপনি একবার
গেলে বারবার যেতে আপনার মন চাইবে। সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক
সুন্দর। সেখানে আপনি গেলেন প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাবেন যে প্রকৃতিও এত
সুন্দর হতে পারে।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে সিকিম ট্যুর প্যাকেজ
বাংলাদেশ থেকে সিকিম ট্যুর প্যাকেজ এটা অনেকেরই জানার দরকার বা প্রয়োজন
রয়েছে। অনেক মানুষের চাই যে ছুটির সময় কোথাও ঘুরতে যাব সেজন্য তাদের
জানা খুবই প্রয়োজন। আর আপনি যদি এই কনটেন্টটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে
অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন যে সিকিমের ট্যুর বাজেট কত হতে পারে। তো আমি আশা
করি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে এই কন্টেন্টটি পড়েছেন তার জন্য অসংখ্য
ধন্যবাদ আজ এতটুকুই।
এসআর এটুজেড এরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url