গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম-উপকারিতা ও সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। তবে গর্ভাবস্থায় কিছু খাবার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে খাওয়া উচিত। কিন্তু গর্ভবতী মায়ের সন্তানের বুদ্ধি ও বিকাশের জন্য একটি খাবার এই কাজুবাদাম। কাজুবাদাম গর্ভাবস্থায় একটি পুষ্টির উৎস হতে পারে।গর্ভাবস্থায়-কাজু-বাদাম-খাওয়া-স্বাস্থ্যের-জন্য-খুবই-উপকারী

কাজুবাদাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট প্রোটিন ভিটামিন ও খনিজ ভরা এই কাজুবাদাম। আর এই কাজু বাদাম খাওয়ার ফলে অনেক রোড প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়ে থাকে। তো চলুন আমরা সেই সকল বিষয়ে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী

গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী

গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল এই কথাটি আপনাদের প্রায় সকলেরই জানা রয়েছে। যে গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আর এই কাজুবাদামের অনেক রকমের ভিটামিন প্রোটিন ও খনিজ যে ভরা রয়েছে। কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। আর এই কাজ বাদাম পুষ্টিগুনে ভরা একটি ফল। 

আর এই কাজু বাদামের চাহিদাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর কারণ হলো মানুষ এই কাজু বাদাম খেয়ে অনেক উপকৃত হচ্ছে সেই জন্য এই কাজু বাদামের চাহিদা অনেক গুন বেড়েই চলেছে। কাজুবাদাম খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল এটা খেতে অনেক সুস্বাদু। কাজুবাদাম হল একটু শক্ত আর এটা খেতে হালকা একটু মিষ্টি আর অনেক সুস্বাদু সাধারণ বাদামের তুলনায় এতে অনেক পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে। 
 
আরো পড়ুনঃ
আর এই কাজুবাদাম আপনি যেকোনো সময় খেতে পারবেন। আর এটা আপনি দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারবেন, বা ব্যালেন্ডার মেশিনে গুড়ো করে জুস করেও খেতে পারবেন আপনি। আর এই কাজুবাদাম যেভাবেই খান না কেন আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে গর্ভাবস্থায় কোন কিছু খাবার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তা খাওয়া উচিত। 

কাজু বাদামের পুষ্টিগুণ 

কাজু বাদামের পুষ্টিগুণ এ ভরা একটি ফল। এই কথা আপনারা সকলেই জানেন আবার অনেকেরই অজানা এই কথাটি। তো চলুন জেনে নিই কি কি ভিটামিন ও প্রোটিন খনিজ রয়েছে এই কাজু বাদামে। কাজু বাদামের পুষ্টিগুণের তালিকা ( প্রতি ১০০ গ্রাম)
  • ৫৫৩ ক্যালোরি 
  • ১৮ গ্রাম প্রোটিন
  • ৪৪ গ্রাম ফ্যাট যেমন ( স্যাচুরেটেড ফ্যাট ৮ গ্রাম, মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ২৪ গ্রাম, পলিআনস্যাচুরেটেড ৮ গ্রাম )
  • কার্বোহাইড্রেট ৩০ গ্রাম ( ডায়েটারি ফাইবার ৩ গ্রাম চিনি ৬ গ্রাম )
  • ভিটামিন ই ০.৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন কে ৩৪.১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.৪১ মিলিগ্রাম, ফোলেট ২৫ মাইক্রগ্রাম। 
  • খনিজ ক্যালসিয়াম ৩৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৬.৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৯২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৫৯৩ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৬০ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক ৫.৮ মিলিগ্রাম, কপার ২.১৯ মিলিগ্রাম, সেলিনিয়াম ১৯.৯ মাইক্রগ্রাম।

গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম রয়েছে তা আমাদের মেনে খেতে হবে। কারণ আমরা কোন জিনিস খাব তার আগে সেই বিষয়ে জেনে নিয়ে খাওয়া উচিত। আর গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম হওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে খাওয়া উচিত। ডাক্তারের যে নিয়মে এই কাজুবাদাম খেতে বলবে সেই নিয়মে খেতে হবে। আর ডাক্তারের নিয়ম না মানলে পরবর্তীতে অনেক রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।  
আরো পড়ুনঃ
তাই চলুন আমরা জেনে নিই সেই সকল নিয়মগুলো কি কি। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ গ্রাম কাজুবাদাম খাওয়া। উচিত এর অধিক আপনি যদি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। প্রাকৃতিক ও অপ্রক্রিয়াজাত কাজুবাদাম রোস্টেড বা কাঁচা কাজু বাদাম খাওয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত লবণ তেল মসলা জাতীয় খাবার গর্ভাবস্থায় না খাওয়াই ভালো হবে তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে আপনাকে। 

আর রাতে ঘুমানোর পূর্বে ২০-৩০ গ্রাম কাজুবাদাম ভালো করে ধুয়ে নিয়ে এক গ্লাস জলের মধ্যে সেটা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সেই কাজু বাদাম ভেজানো জল পান করুন এবং তারপরে ওইসব কাজুবাদাম খাওয়া উচিত। আর কাজুবাদাম খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে ভালো সবজি খেতে হবে এর ফলে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। 

এবং কাজুবাদাম খাবার পাশাপাশি আপনাকে প্রতিদিন সাড়ে তিন থেকে চার লিটার জল খেতে হবে। কারণ গর্ভাবস্থায় অনেকেরই দেখা যায় যে তাদের জলশূন্য। তাই আপনাকে প্রতিদিন ৪ লিটার জল পান করতে হবে। তা না হলে আপনি এইসব সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তাই কাজুবাদাম খাবার পাশাপাশি আপনাকে অধিক জল পান করতে হবে তাহলে আপনি সুস্থ থাকবেন আর এই গুলোই হল নিয়ম। 

আবার অনেকগুলো সুষম খাবার রয়েছে সেগুলো আপনি গর্ভাবস্থায় খেতে পারেন। যেমন দুধ, ডিম, শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদি এইগুলো হলো সুষম খাবারের তালিকা এছাড়া অনেকগুলো খাবার রয়েছে। যা আপনি গর্ভাবস্থায় খেতে পারবেন। আর এগুলো খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কোন সমস্যা হবে না। এগুলো খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। যা কিনা মানব শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে তা আমরা জানিনা সেগুলোই জেনে নেব। গর্ভাবস্থায় কোন কিছু খাবার পড়বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে টা খাওয়া উচিত। গর্ব অবস্থায় ভুলভাল খাবা চলবে না যেমন ফাস্টফুড, ফুচকা, চটপটি, ইত্যাদি তেল ও মসলা জাতীয় জিনিস খাওয়া যাবে না। তো চলুন গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তা জেনে নি।
গর্ভাবস্থায়-কাজু-বাদাম-খাওয়ার-উপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
কাজুবাদাম এতে রয়েছে অনেক পরিমান প্রোটিন যা মা ও শিশু দুই জন এরই প্রয়োজন। আর গর্ব অবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে শিশুর মস্তিষ্কের বুদ্ধি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। মা ও শিশু কোষ এবং টিস্যুর বৃদ্ধি ও পূর্ণগঠনে সহায়ক। আর এই কাজুবাদামে রয়েছে অনেক পরিমান ফ্যাট সেজন্য গর্ব অবস্থায় কাজুবাদাম ২০-৩০ গ্রাম খাওয়া প্রয়োজন। এর ফলে শরীরে শক্তি সঞ্চয় হয় যার ফলে আপনার শরীর দুর্বল হবে না সেজন্যই গর্ব অবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়া উচিত। 
আরো পড়ুনঃ
এছাড়াও কাজুবাদামে রয়েছে ভিটামিন কে। যা শরীরের রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। কারণ গর্ভাবস্থায় যখন থাকে বাচ্চা প্রসব করার সময় অনেক রক্ত ঝরে যায় তাই কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে কাজুবাদামে ভিটামিন ই যা একটি শক্তিশালীঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার ফলে আপনার ত্বক এর কোন সমস্যা হবে না। তাছাড়াও কাজুবাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা আপনার পেশী বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

এবং এই কাজু বাদামে রয়েছে ফসফরাস যা গর্ভাবস্থায় আপনার দাঁতের কোন ক্ষতি হবে না কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে। এবং আপনার সন্তানের ও শরীর সুস্থ থাকবে। এছাড়াও কাজু বাদামে রয়েছে পটাশিয়াম যা মানব শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স করে থাকে। আর এইগুলো সবই আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। যা শুধুমাত্র এই কাজুবাদামে রয়েছে আপনি এই কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে এইগুলো সব উপাদান পাচ্ছেন প্রয়োজনীয়।

কাজু বাদাম কি ভেজে খেতে হয়

কাজু বাদাম কি ভেজে খেতে হয় তা আমাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসে। যে কাজুবাদাম ভিজিয়ে না ভেজে খেতে হয়। সহজ কথা বলতে গেলে কি কাজুবাদাম ভেবেও। খাওয়া যায়। আর এই কাজুবাদাম ভাজার ফলে এর স্বাদ অনেক পরিমাণ বেড়ে যায় যা খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে কিন্তু কাজুবাদাম ভাজার ফলে অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টস খানিকটা হ্রাস পায় যা স্বাস্থ্যসম্মত

তবে ভাজা কাজু বাদাম এর চেয়ে কাঁচা কাজুবাদাম এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। কারণ কাজুবাদাম ভাজার সময় চেয়ে পরিমাণ তেল ও লবণ থাকে তা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আর গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত তেল ও মসলা খাবার ফলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে তাই আপনাকে ভেজে খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কাঁচা কাজুবাদাম বাদাম খাওয়ায় আপনার ভালো হবে। 

কাজুবাদাম ভাজার ফলে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক গুণ বেড়ে যায়। যা মানব দেহের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। আর আপনি যদি গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম ভেজে খান তাহলে আপনারও ওজন অনেকগুণ বেড়ে যাবে। পরবর্তীকালে আপনাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই আপনাকে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে আপনাকে সুষম খাবার খেতে হবে এই সময় আর এটা কাঁচা খেতে অনেক সুস্বাদু।

হাড়ের গঠন মজবুত করতে কাজুবাদামের উপকারিতা

হাড়ের গঠন মজবুত করতে কাজুবাদামের উপকারিতা আছে অনেক পরিমান। কাজু বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম থাকার কারণে মানবদেহে হাড় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং মানবদেহের হাড় মজবুত করতে অনেক পরিমাণ সাহায্য করে আর আপনি এই কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে এই উপাদান গুলো আপনার শরীরে পেয়ে যাচ্ছেন। আর কাজু বাদামে এছাড়াও অনেক পরিমাণ কঠিন রয়েছে। 

আর প্রতিটি মানবদেহের জন্য প্রোটিন প্রয়োজন। এবং সুষম খাবার প্রয়োজন সেগুলো খেলে মানব দেহ সুস্থ থাকবে সেজন্যই আপনাকে প্রোটিন ও সুষম যুক্ত খাবার খেতে হবে আর গর্ব অবস্থায় তো আপনাকে খেতেই হবে তা না হলে আপনার সন্তানের অনেক সমস্যা হবে। আর এগুলো খাবার ফলে আপনার সন্তানের সঞ্চিত হবে। এবং আপনার শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করবে। যা মাতৃত্বকালীন একটি মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও রয়েছে। আমরা কোন কিছু খাবার পূর্বে তার উপকারিতা জেনেই সেগুলো খাওয়া শুরু করি। কিন্তু একটি খাবারে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। 
গর্ভাবস্থায়-কাজু-বাদাম-খাওয়ার-পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
আর বিশেষ করে তো গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে না জেনেই খেয়ে ফেলে দিই আমরা। এর ফলে পরবর্তীতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় গর্ভবতী মহিলাদের সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে আপনাকে।

মানবদেহের জন্য পুষ্টিগুণের প্রয়োজন রয়েছে তা না হলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। কিন্তু কোন খাবারই বেশি খাওয়া ঠিক নয় এর ফলে আপনার অনেক সমস্যা হতে পারে। সেই জন্য আপনাকে কাজুবাদামও পরিমাণ মতোই খাওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় আপনি যদি অতিরিক্ত কাজুবাদাম খাওয়া হলো হুমকি স্বরূপ।যেমনঃ
  • আপনার এলার্জি হতে পারে, এবং আপনার যদি এলার্জি পূর্বে থাকে তাহলে গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম না খাওয়াই উচিত।
  • যেহেতু কাজুবাদামে ক্যালরি রয়েছে আপনি যদি অতিরিক্ত কাজুবাদাম খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। আর গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়া ঠিক নয় সেজন্যই আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না এইগুলো নিয়ম আপনাকে মেনে খেতে হবে।
  • কাজু বাদামের মধ্যে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ থাকে। আপনি যদি অধিক কাজুবাদাম খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার রক্তের সুগার বৃদ্ধি হবে। এছাড়া প্লাস্টিক ও হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • প্রয়োজনের থেকে বেশি কাজুবাদাম খেলে মা ও শিশুর সমস্যা হতে পারে।
  • কাজু বাদাম অক্সালেটের পরিমান বেশি রয়েছে, আর অতিরিক্ত যদি কাজুবাদাম খেয়ে থাকেন তাহলে কিডনির সমস্যা ও পিত্তথলিতে পাথর জমতে পারে।

শিশুর বিকাশে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

শিশুর বিকাশে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে এ কথাটি অনেকেরই অজানা আবার অনেক মানুষই আসে এই কথাগুলো জানে। যেমন গর্ভবতী মায়ের কাজু বাদাম খাওয়ার ফলে অনেক পরিমাণ ভিটামিন প্রোটিন পেয়ে থাকে ঠিক তেমনি তার শিশু সন্তানের ও অনেক পরিমাণ ভিটামিন প্রোটিন পেয়ে থাকে। আর কাজু বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন প্রোটিন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি আরো অনেক কিছু রয়েছে। যা মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

আর এই কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে আপনার শিশুর মস্তিষ্কে বুদ্ধি সঞ্চয়িত হবে এবং শারীরিক গঠন অনেক সুন্দর হবে কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে শরীরের হাড় গুলো মজবুত হবে। এবং আপনার শিশুর শরীরের টিস্যু বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে এ কাজু বাদাম। আর এইগুলো উপাদান মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা আপনি কাজুবাদাম খাওয়ার ফলেই এগুলো প্রোটিন আপনার শরীরে পেয়ে যাচ্ছেন।

আর গর্ভাবস্থায় আপনাকে অনেক নিয়ম কারণ মেনে এসব খাবার খেতে হবে তা না হলে আপনার শরীরের অনেক সমস্যা দেখা যেতে পারে। গর্ভবতী কালীন তিন মাস পর থেকে আপনাকে কাজুবাদাম খাওয়া উচিত কারণ তিন মাস পর থেকে খেলে আপনার সন্তানের মস্তিষ্ক প্রকাশিত হবে। আবার আপনার সন্তান বৃদ্ধির জন্য অনেক উপকারিতা হবে। আর এর জন্যই আপনাকে তিন মাস পরে কাজুবাদাম খাওয়া উচিত।

দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। এ কথাটি অনেকেরই অজানা বা অনেক মানুষ আছে যে এ কথাটি জানেন। তাই আজ আমরা সম্পূর্ণ টা জানবো বিস্তারিতভাবে। এক গ্লাস দুধে কাজুবাদাম ভিজেয়ে খাওয়ার অনেকগুলো উপকার আপনি পাবেন। যেমন এক গ্লাস দুধের যে পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যা আপনার শরীরের হাড় মজবুত করতে সহযোগিতা করে।

তাহলে আপনি একবার ভাবুন যে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে কাজুবাদাম খাওয়া কতগুলো উপকার আপনি পাবেন আপনার শরীরে। কাজু বাদামে রয়েছে ফাইবার ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম প্রোটিন ভিটামিন কে ইত্যাদি আরো অনেক কিছু উপাদান রয়েছে এই কাজ বাগানে। আর এই কাজু বাদাম ভালোভাবে জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে তারপর দুধের সাথে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর আপনি ওই কাজগুলো বাদাম আর দুধ খেয়ে নিবেন একসঙ্গে।

তাহলে আপনার অনেক উপকার হবে এর ফলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। এবং আপনার হার মজবুত হবে। এবং এর ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। আর আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে গর্ভবতী কালীন আপনাকে নিয়ম মেনেই খাওয়া দাওয়া করা উচিত। আর বিশেষ করে তো আপনাকে প্রতিদিন চার লিটার জল পান করতে হবে তাহলে আপনার শরীর ঠিক থাকবে না।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী

গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তা আমরা ইতিমধ্যে জেনে ফেলেছি। আপনি যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে এই কনটেন্টটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন যে গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম  খাবার উপকারিতা রয়েছে। আমি আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে এই কনটেন্টটি করেছেন। তার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই কনটেন্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। ধন্যবাদ আজ এতটুকুই ভালো থাকবেন সবাই। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এসআর এটুজেড এরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;

comment url