গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার বিস্ময়কর উপকারিতা ও সম্ভাব্য অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা কি হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা এই কথাটি। কিন্তু গর্ভবতী মায়েদের জন্য লেবু একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। গর্ভবতী অবস্থায় লেবু খাওয়ার ফলে অনেক রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 
গর্ভাবস্থায়-লেবু-খাওয়ার-উপকারিতা তবে কোন জিনিসই বেশি খাওয়া ভালো নয় বেশি খেলে তার অপকারিতা আছে। আর আপনারা যারা গর্ভবতী রয়েছেন তাদের এই বিষয়গুলো জানা খুবই জরুরী। লেবুতে ভিটামিন সি এর উৎস হলেও অতিরিক্ত লেবু খাবার ফলে গ্যাসটিক এর সমস্যা হতে পারে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা এই কথাটি হয়তো অনেকেরই অজানা থাকতে পারে, আবার অনেক মানুষেরই জানা এই কথাটি যে গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার যেসব উপকারিতা রয়েছে। তো চলুন আমরা সেই সকল বিষয়ে জানব গর্ভাবস্থায় লেবু খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। লেবু একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা গর্ভবতী অবস্থায় লেবু খেলে অনেক রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরের।

লেবু এমন একটি ফল যেটা সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। এবং এর চাহিদাও অনেক বেশি হয়ে থাকে। আর এটি বছরের সারা বছরই পাওয়া যায়। গর্ভবতী অবস্থায় অনেকেরই খাবার খাওয়ার প্রতি তেমন কোন রুচিবোধ থাকে না। আপনার কোন কিছু খাবারে সাথে যদি লেবুর রস মিশিয়ে খান তাহলে সেই খাবার আপনি খেতে পারবেন আপনার মুখে কিছুটা হলেও রুচি ফিরে আসবে। 

আরো পড়ুনঃ
আর লেবুর রস দিয়ে আপনি ভাত খেতে পারবেন আবার শরবত তৈরি করেও খেতে পারবেন এই লেবু। আর গর্ভবতী অবস্থায় লেবু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। লেবুতে রয়েছে ক্যালোরি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি আরো অনেক কিছু রয়েছে, যা আপনারা এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করলেই বুঝতে পারবেন যে লেবু খেলে কি কি উপকারিতা আপনারা পাবেন। 

লেবুর পুষ্টিগুণ

লেবুর পুষ্টিগুণ রয়েছে এটা আপনাদের অনেকেরই জানা কথা। কিন্তু কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে এই কথাটি অনেকেরই মনে আসতে পারে। তো চলুন আমরা সেই সকল পুষ্টিগুণ বিষয় জেনে নেই। 
লেবুর পুষ্টিগুণের তালিকা ( প্রতি ১০০ গ্রাম)
লেবুর পুষ্টিগুণ মিলি গ্রাম
ক্যালোরি ২৯
ফ্যাট ০.৩
সোডিয়াম
পটাশিয়াম ১৩৮
কার্বোহাইড্রেট
ফাইবার ২.৮
সুগার ২.৫
প্রোটিন ১.১    
মূলত এগুলোই হল লেবুর পুষ্টি ও গুণের তালিকা। একটি ছোট্ট মানুষের প্রতিদিন সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এবং পুষ্টিগুণ যেসব খাবারে আছে সেগুলো খেতে হবে আর লেবুতে পুষ্টি ও মনে ভরা রয়েছে। তার জন্য একটু সুস্থ মানুষের লেবু খাওয়া খুবই জরুরী বিশেষ করে গর্ভবতী অবস্থায় লেবু খাওয়া খুবই প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় কিভাবে লেবুর রস তৈরি করে খাবেন

গর্ভাবস্থায় কিভাবে লেবুর রস তৈরি করে খাবেন তা হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকে আছে যেমন ভাবে খেয়ে থাকেন আবার অনেকে আছেন যে ভাতের সাথে আবার শরবত করে খেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনাদেরকে জানতে হবে যে লেবুর রস কিভাবে তৈরি করতে হয় এবং খেতে হয় এর নিয়ম গুলো আপনাদের জানতে হবে। আর গর্ভাবস্থায় কোন কিছু খাবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা খুবই জরুরী। 
 
আরো পড়ুনঃ
যে সকল উপাদান প্রয়োজন লেবুর রস তৈরি করতে ঃ
  • ১ থেকে ২টি তাজা লেবু নিতে হবে 
  • ২ থেকে ৩ কাপ জল নিতে হবে 
  • ১ চামচ লবণ (আপনার স্বাদ অনুযায়ী)
  • ১ থেকে ২ চামচ মধু বা চিনি দিতে পারেন
যেভাবে লেবুর রস তৈরি করতে হয় ঃ
  • সর্ব প্রথম আপনাকে লেবুগুলো ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর আপনাকে লেবুগুলো কাটতে হবে। 
  • এবং একটি পরিষ্কার আকাশে এক গ্লাস জলভড়তে হবে। এবং আপনি যেই লেবুগুলো কেটে রেখেছেন ওইগুলো চিপে তার রস জলের মধ্যে দিতে হবে। 
  • লেবুর রস জলের মধ্যে দেওয়ার পরে আপনাকে এক চামচ লবণ দিতে হবে ওই লেবুর রসের গ্লাসের মধ্যে। 
  • তারপরে আপনাকে এক থেকে দুই চামচ মধু বা চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে।
আর এভাবে আপনি লেবুর রস বের করে শরবত তৈরি করতে পারবেন। আর এই রস হওয়ার ফলে শরীরের অনেক উপকার হয়ে থাকে। রস খাওয়ার ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে থাকে খাবারের প্রতি বাড়ে ইত্যাদি আরো অনেক কিছু উপকারে উপকৃত হয়ে থাকে অনেক মানুষ।

গর্ভাবস্থায় দিনের কোন সময় লেবুর রস পান করা ভালো

গর্ভাবস্থায় দিনের কোন সময় লেবুর রস পান করা ভালো এই প্রশ্নটি আপনাদের অনেকেরই থাকে। যে গর্ভবতী অবস্থায় কোন সময় লেবুর রস পান করা উচিত হবে। আর লেবুর রস খাওয়ার ফলে শরীরে অনেক উপকার হয়ে থাকে।  তো আমি এখন সেই সফল বিষয়েই আপনাদেরকে বলবো চলুন জেনে নিন যে কোন সময়ে লেবুর রস খাওয়া ভালো হবে।
গর্ভাবস্থায়-দিনের-কোন-সময়-লেবুর-রস-পান-করা-ভালো
সকালে খালি পেটেঃ  সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাঁশি পেটে লেবুর রস খেলে অনেক উপকার হয়ে থাকে। এই কথাটি আপনাদের অনেকেরই অজানা থাকতে পারে, কিন্তু অনেকেরই জানা এই কথাটি। যে গর্ভবতী অবস্থায় খালি পেটে সকালবেলা লেবুর রসের শরবত খেলে অনেক উপকার হয়ে থাকে। আপনি পাশে পেটে খেলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এর ফলে আপনার শরীর অনেক সুস্থ থাকবে।  
 
দুপুরবেলা খাবার আগে পান করতে পারেনঃ দুপুরে খাবার ৩০ মিনিট পূর্বে লেবুর শরবত খেতে পারেন। এর ফলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আর আপনার মুখের রুচিও বাড়বে খাবার প্রতি। আর লেবু খাবার ফলে অনেক রোদ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর  লেবু খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে খাওয়া উচিত। কেননা কোন জিনিস কতটুকু খেতে হবে তা শুধু ডাক্তাররা জানে। 

বিকেলের দিকে লেবুর শরবত খেতে পারেনঃ এর কারণ হলো গর্ভাবস্থায় এমনিতে শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে থাকে। আর আপনি যদি বিকেল বেলা লেবুর শরবত পান করে থাকেন। তাহলে আপনার শরীরে এনার্জি বৃদ্ধি পাবে। আর এই শরবত খাওয়ার ফলে আপনার মন মানসিকতাও অনেক ভালো হবে। যার ফলে আপনার বাচ্চাও ভালো থাকবে এবং সুস্থ থাকবে।

গর্ভাবস্থায় লেবুর রস পান করা কি নিরাপদ

গর্ভাবস্থায় লেবুর রস পান করা কি নিরাপদ এই প্রশ্ন অনেকেরই মাথায় আসতে পারে। কারণ আপনি এখন গর্ভবতী এই সময়ে আপনাকে কোন কিছু খাবার পূর্বে অবশ্যই সে খাবারে কি উপকার আছে নাকি অপকার আছে সেগুলো আপনাকে জেনে শুনে সেই খাবার গ্রহণ করা উচিত হবে। আর গর্ভবতী অবস্থায় কোন কিছু খাবার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তা খাওয়া উচিত হবে।

আর গর্ভবতী সময় এমন এক সময় যেখানে মাকে খাবারের প্রতি অনেক সচেতন হতে হয়। এর কারণ হলো সে যে খাবার খাবে সেই খাবারের পুষ্টিগুণ গুলো তার শিশুসন্তান পাবে। সেই পুষ্টির কারণে তার শিশুসন্তান দিনে দিনে বৃদ্ধি পাবে। তাই এই সময় কোন কিছু খাবার পড়বে ডাক্তারের কাছ থেকে ওই খাবারের বিষয়ে জেনে খাবার গ্রহণ করা উচিত। সাধারণত লেবুর শরবত খাওয়া ভালো।  
 

গর্ভাবস্থায় লেবুর রস খাওয়া নিরাপদ। কিন্তু আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যে অতিরিক্ত কোন কিছুই খাওয়া ভালো নয় তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত খাবার ফলে আপনার এমাল্ড এর ক্ষতি করতে পারে। অনেক গর্ভবতী মহিলার অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে থাকে। যদি আপনার এইসব সমস্যা থেকে থাকে তাহলে লেবুর রস পান করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে আপনাকে। 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানুন এবং এ বিষয়ে জানা খুবই জরুরী। কারণ গর্ভাবস্থায় আপনি কি খাবেন না খাবেন সেটা নিয়ে আপনার শিশু সন্তানের উপরে পড়বে। আপনি যদি ভালো কিছু পুষ্টিকর খাবার খান সেটার উপকার আপনিও আপনার সন্তান পাবে। আর আপনি যদি পুষ্টিকরবিহীন খাবার খান তাহলে আপনার শিশু সন্তান বৃদ্ধি পেতে সমস্যা হবে এর ফলে অনেক সমস্যা দেখা যায়।

গর্ভাবস্থায় আপনি যেটাই খান না কেন তার আগে আপনাকে সেই বিষয়ে ধারণা নিতে হবে ডাক্তারের কাছে থেকে। গর্ভাবস্থায় যেসব সমস্যা হতে পারে বেশি লেবুর রস খাবার ফলে। গর্ভাবস্থায় লেবুর রস খাবার ফলে যেসব ক্ষতিকর লক্ষণ গুলো দেখা যায় তা নিচে লেখা হলো। 

এসিডিটিঃ লেবুর রসের উচ্চ মানের অ্যাসিডেক রয়েছে। আর এই লেবুর রস খাবার ফলে আপনার শরীরে জ্বালাপোড়া শুরু করবে। এর ফলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। যার কারণে গর্ভ অবস্থায় আপনি যেটাই খাবেন তার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে খাওয়া উচিত হবে আপনার।

এলার্জিঃ গর্ভাবস্থায় লেবুর রস খাবার ফলে এলার্জির লক্ষণ দেখা যেতে পারে। যেমন চুলকনি, হাঁচি, কাশি ইত্যাদি আরো অনেক হলো লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এর জন্য গর্ভাবস্থায় আপনার লেবুর রস এড়িয়ে চলার উচিত হবে। আর গর্ভাবস্থায় যেটাই খাবেন না কেন আপনি তার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করাই উচিত হবে আপনার। 

পেটের সমস্যাঃ গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার পেটের সমস্যা হয়ে থাকে আর আপনি যদি লেবুর রস পান করেন। পেটের সমস্যা থাকলে যার ফলে আপনার ডায়রিয়া হয়ে যেতে পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে আপনার লেবুর রস খাওয়া উচিত। আবারো অনেক মহিলার গর্ভাবস্থায় পেটের ব্যথা হয়ে থাকে। আর এই লেবুর রস এ রয়েছে উচ্চমানের অ্যাসিডেক। যার ফলে আপনার পেট ব্যথা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে তাই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণ লেবুর রস পান করা বর্জন করতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় লেবু খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাবেন

গর্ভাবস্থায় লেবু খেলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাবেন এই কথাটি সবারই জানা প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আপনি একটি জিনিস খাবেন সেটার ভালো দিক খারাপ দিক দুটোই আপনার জানা দরকার। আর এই লেবুর রস খাওয়ার ফলে যেসব রোগ থেকে মুক্তি পাবেন সেটা অনেকেরই প্রশ্ন মাথায় আসতেই পারে। তাই চলুন আমরা জেনে নেই যে গর্ভাবস্থায় লেবুর রস পান করলে যে সব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।গর্ভাবস্থায়-লেবু-খেলে-যেসব-রোগ-থেকে-মুক্তি-পাবেন

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ লেবুর রস যদি পানির মধ্যে দিয়ে খাওয়া হয় তার ফলে আপনার জ্বর সর্দি কাশি ইত্যাদি রোগ ভালো হয়ে থাকে। আর আপনি যদি একগ্লাস লেবু জল খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীর সুস্থ সবল হয়ে থাকবে।
  • বমি ভাব নিয়ন্ত্রণ করেঃ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা ও বোনেরা বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। আর বমি করলে শরীর অনেক খারাপ ও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। ২০১৪ সালের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে লেবু খাওয়ার ফলে বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। 
  • বদহজমঃ অনেকেরই অতিরিক্ত খাবার ফলে বদ হজম হয়ে থাকে। যার ফলে গ্যাস্ট্রিকের আরো অন্যান্য সমস্যা হয়ে থাকে। আপনি যদি সকালের খালি পেটে এক গ্লাস লেবুর শরবত খেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার গ্যাসের সমস্যা আর হবে না বদহজম থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় এর ফলে।
আপনি যদি গর্ভাবস্থায় লেবুর রস পান করে। বা করবেন বলে ভাবছেন তারা এই সকল উপকারিতা পাবেন। আর লেবুর রস খাওয়ার ফলে শরীরে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর কোন কিছুই অতিরিক্ত খাবার ভালো না। তাই কোন কিছু খাবার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ আগে অবশ্যই গ্রহণ করবেন তারপরে সেই জন্য আপনি খাবেন। 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর জানা সবারই প্রয়োজন। কারণ আমরা একটা জিনিস খাবো সেটা ভালো নাকি খারাপ সেটা আমাদের জানা দরকার আর এই দেশে আমাদের মাথায় অনেক প্রশ্ন আসতে পারে আর এটা স্বাভাবিক। তো চলুন আমরা জেনে নেই যে কি কি প্রশ্ন থাকতে পারে সবার পূর্বে।

প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় কি লেবু খাওয়া যাবে?

উত্তরঃ হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া নিরাপদ। কিন্তু আপনাকে পরিমাণ মতো খেতে হবে অধিক খেলে তার সাইড ইফেক্ট রয়েছে। তাই কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না গর্ভাবস্থায় এটি আপনার মাথায় রাখতে হবে। 

প্রশ্নঃ সকালে কি খালি পেটে লেবুর শরবত খাওয়া যাবে? 

উত্তরঃ হ্যাঁ সকালে খালি পেটে লেবুর শরবত খাওয়া যাবে। কারণ আপনি যদি রাতে খাবার খেয়ে থাকেন বেশি তাহলে আপনার বদহজম হতে পারে। আর আপনি যদি সকালে খালি পেটে লেবুর শরবত পান করে থাকেন তাহলে অনেক সমস্যা থেকে রোগ প্রতিরোধ মুক্ত করে থাকে।

প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার ক্ষতিকর দিক গুলো কি?

উত্তরঃ এই প্রশ্নটি সবার মাথায় আসে যে ক্ষতিকর দিকগুলো কি সেগুলো অনেকেরই ই অজানা কিন্তু সবার এই কথাটি জানা খুবই প্রয়োজন। আপনার যদি এলার্জি থেকে থাকে তাহলে লেবুর রস গর্ভাবস্থায় পান না করাই উচিত হবে আপনার। আর লেবুতে রয়েছে অ্যাসিডেক যার ফলে এসিডিটি বা গ্যাসটিক এর সমস্যা হতে পারে। সেজন্যে অতিরিক্ত লেবুর রস পান করা যাবে না। প্রয়োজনমতো পান করতে হবে। 

গর্ভাবস্থায়ী লেবুর বিকল্প হিসেবে কি খাবেন

গর্ভাবস্থায়ী লেবুর বিকল্প হিসেবে কি খাবেন এই প্রশ্ন সবারই মাথায় আসে। কারণ আপনার যদি এলার্জি থেকে থাকে তাহলে লেবুর রস খেলে সেগুলো বেড়ে যাবে। যার ফলে মা ও শিশু সন্তান দুইজনেরই ক্ষতি হয়। তার জন্যই যদি আপনার এই সব সমস্যা থেকে থাকে তাহলে লেবুর রসের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য ফল খেতে হবে। তো কি ফল খেতে হবে আপনারা জানেন না তাই চলুন আমরা জেনে নেই কি কি ফল খাওয়া যেতে পারে।

কমলাঃ গর্ভাবস্থায় লেবুর বিকল্প হিসেবে আপনারা কমলা খেতে পারেন। কারণ কমলাতে রয়েছে ভিটামিন সি এবংঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আর এ কমলা খেতে অনেক সুস্বাদু। লেবুর বিকল্প হিসেবে আপনারা কমলা বেছে নিতে পারেন।

কাজুবাদামঃ গর্ভাবস্থায় লেবুর বিকল্প হিসেবে আপনারা কাজু বাদাম বেছে নিতে পারেনা। কারণ কাজল বাদামে রয়েছে। ক্যালোরি, প্রোটিন, ফাইবার, সুগার, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ইত্যাদি আরো অনেকগুলো উপাদান রয়েছে এই কাজ বাদামে। তারপর বড় ব্যবস্থায় কাজে লাগানো অনেক রোগ প্রতিরোধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর এ কাজু বাদাম খেতে অনেক সুস্বাদু। 

কিসমিসঃ গর্ভাবস্থায় কিছু খাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। থেকে রয়েছে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফাইবার, সুগার, ইত্যাদি আরো অনেকগুলো উপাদান রয়েছে এই কিসমিস এ। আপনি যদি প্রতি রাতের বেলা দুধের সাথে কিসমিস ভিজিয়ে খান। তাহলে আপনার শরীরে অনেকগুলো পরিবর্তন দেখা যাবে। যেমন আপনার চেহারা আগের থেকে অনেক সুন্দর দেখাবে। গর্ভাবস্থায় লেবুর পরিবর্তে আপনারা দুধের সাথে কিসমিস খেতে পারেন বিকল্প হিসেবে।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার সবারই আগ্রহ থেকে থাকে। আর এই আর্টিকেলে সম্পন্ন এ বিষয়ে লেখা আছে। আপনি যদি সম্পূর্ণ এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন। যে গর্ভাবস্থায় লেবু খাবার যেসব উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। তো আমি আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়েছেন। তার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এসআর এটুজেড এরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;

comment url