বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে
বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে এই প্রশ্নটি অনেকেরই হয়ে থাকে। সিকিম
হল ভারতের একটি ছোট্ট রাজ্য। আর এ রাজ্য দেখতে বছরের লক্ষ লক্ষ পর্যটক সেখানে
যায়। সেখানে সারা বছরই বরের দেখা যায় জিরো পয়েন্টে আর এই জায়গাগুলো
দেখতে খুবই সুন্দর।
তার অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে সিকিম যাব কিভাবে বাংলাদেশ
থেকে। কারণ সিকিমে অন্যান্য দেশ থেকে পর্যটক আসে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করার
জন্য। আর বাঙ্গালীদের কাছে একটি আবেগ। আর অল্প বাজেটের মধ্যে বরফ দেখা
যায় সিকিমে।
পেজ সুচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে
- বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে
- সিকিমের যাবার জন্য কি পারমিট এর প্রয়োজন হয়
- সিকিম এর দর্শনীয় স্থান সাঙ্গু লেক
- বাংলাদেশ থেকে সিকিমে যাবার জন্য কি ভিসার প্রয়োজন হয়
- সিকিমের আয়তন কত
- সিকিমের রাজধানী কি
- সিকিমে যাবার সেরা সময়
- সিকিমে যেয়ে কোথায় থাকবেন
- সিকিমের দার্শনিক স্থানগুলো কি কি
- শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে
বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে
বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে এই প্রশ্ন সবারই হয়ে থাকে। কারন এত
সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে সেগুলো আমরা এখনো দেখতেই পাইনি। আর ভারতে অনেক
সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে আপনি যদি পুরো ভারত ভ্রমণ
করেন। তাহলে গোটা পৃথিবীর অর্ধেক সৌন্দর্য উপভোগ করা হয়ে গেল। আর ভারত
হলো আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। আমাদের দেশের তিন পাশে ভারত আর একপাশে সমুদ্র।
তাই আমরা সবার আগে কোথাও ঘুরতে গেলে ভারতের কথাই মাথায় আসে। আর
ভারতেরই ছোট্ট এক রাজ্য হল সিকিম যেটি পশ্চিমবঙ্গের ওই পাশের একটি ছোট্ট
রাজ্য দার্জিলিংয়ের পাশে। আর সিকিমের সৌন্দর্য অনেক
সুন্দর। সেখানে উঁচু উঁচু পাহাড় পর্বত রয়েছে আর পাহাড় পর্বতগুলো বরফে
ঢাকা রয়েছে। আর এই গুলো দেখতেও খুবই ভালো লাগে। আর বরের দেখতে কার না
ভালো লাগে।
আরো পড়ুনঃ সিকিমের দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম
আর এই পরে ভারতের অনেক রাজ্যে পড়ে থাকে। আবার ইউরোপ কান্ট্রিতেও পরে
আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া জার্মানি ফ্রান্স সবগুলোতে পরে পরে। আর ওইগুলো দেশে
ভ্রমণ করতে অনেক টাকা খরচ হয় এবং ভাষাগত দিক দিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় সেই জন্য
আমরা ওই দিকে যায় না। অল্প টাকা খরচ করে ও অল্প সময়ের বিনিময়ে
সিকিমে যাওয়া যায়। সেই জন্য পরে দেখার কথা মাথায় আসলে সবার আগে
সিকিমের কথা মাথায় আসে আমাদের।
তো চলুন আমরা জেনে নেই যে বাংলাদেশ থেকে সিকিমে কিভাবে যেতে হয়। তো
সবার আগে আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে। যার নূন্যতম ৬ মাস থাকতে
হবে। এবং তার জন্য আপনাকে ভারতীয় টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন হবে। তারপর
আপনাকে ভারতে যে কোন পথে প্রবেশ করতে হবে। হয় আকাশ পথ না হলে
স্থলবন্দর। আপনি যেই স্থলবন্দর দিয়েই প্রবেশ করুন না কেন।
তারপর আপনাকে সেইখান থেকে টেনে করে হোক বা আকাশপথে। সেখান থেকে আপনাকে
জলপাইগুড়ি আসতে হবে। আর এই জলপাইগুড়ি থেকেই মূলত সিকিমের যাত্রা শুরু
হয়ে থাকে। সেখান থেকে অনেকগুলো বাস ট্যাক্সি পেয়ে যাবেন। মূলত সেই
গাড়িতে সিকিম চলে যেতে পারবেন। আর সিকিম রাজ্য দেখতেও অনেক
সুন্দর।
সিকিমের যাবার জন্য কি পারমিট এর প্রয়োজন হয়
সিকিমের যাবার জন্য কি পারমিট এর প্রয়োজন হয় এই প্রশ্নটি সবারই
মাথায় আসে। বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে এই কথা সবাই ভাবে। এটা
সত্য কথা যে সিকিমের যাবার জন্য সবারই পারমিটের প্রয়োজন পড়ে। এর কারণ হলো
সিকিমের ওই পাশে হলো চীনের সাথে সীমানা রয়েছে সেই জন্য সেখানে যাবার জন্য
ভারতীয় নাগরিক হোক আর অন্য দেশের তাদের সবারই পারমিনের প্রয়োজন হয়।
সিকিমের যাওয়ার জন্য মূলত কোন পারমিট প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু সিকিমে যাবার পরে আপনি যে টুরিস্ট স্পটে ঘুরে ঘুরে দেখবেন। মূলত
সেখানে যাবার জন্য আপনার পারমিটের প্রয়োজন পড়ে। আর আপনি যে হোটেলে
থাকবেন। সেই হোটেলের লোকদের বলে আপনি পারমিট করিয়ে নিতে
পারবেন। আর যদি আপনি তাদেরকে দিয়ে পারমিট না করান তাহলে হাঁটতে
হাঁটতেএমজি মার্কেট দিকে যাবেন। আর সেখানেও অনেকগুলো দোকান দেখবেন।
সেখানে তারা পারমিট করে দেয় তার জন্য আপনার থেকে কিছু অর্থ নিয়ে থাকে। আর
এই পারমিট হয়ে গেলেই আপনি যে কোন জায়গায় ঘুরতে পারবেন সিকিমের। আর সিকিম
রাজ্যটি খুবই সুন্দর। সেখানে উঁচু উঁচু পাহাড় রয়েছে বরফে ঢাকা। আর
অনেক বড় বড় ঝর্ণা রয়েছে। যা কিনা দেখতে অনেক সুন্দর। তারপর ছোট ছোট
ঝিল রয়েছে। মূলত মানুষ প্রকৃতির প্রেমে পড়ে। আর সিকিমে এগুলো সব
পাওয়া যায় সেই জন্য মানুষ সেখানে ঘুরতে যায়।
সিকিম এর দর্শনীয় স্থান সাঙ্গু লেক
সিকিম এর দর্শনীয় স্থান সাঙ্গু লেক এই কথাটি সত্য। সাঙ্গু লেক হলো সিকিমের এই অংশ। গ্যাংটক থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৪০
কিলোমিটার পূর্ব সিকিম এ অবস্থিত সাঙ্গু লেক। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৭৫৩ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এইসাঙ্গু লেক। আর এটি হল পুরো বরফে ঢাকা রয়েছে। তার আশেপাশে অনেক বড়
বড় পাহাড়-পর্বত রয়েছে সেগুলো বরপে ঢাকা রয়েছে।
আর এই লেকের জলের পাশে পরে আছে। সেখানে আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা। আর
সেখানে অনেক বাতাস বয়ে যায়। আর এই জায়গা দেখতে অনেক সুন্দর মূলত এইগুলো
দার্শনিক স্থানগুলো দর্শন করার জন্য বছরে লক্ষ লক্ষ পর্যটক হলে
যায়। শুধুমাত্র ভারত থেকেই যায় না। এই দার্শনিক স্থানগুলো দেখার জন্য
বাহিরের দেশ থেকেও লক্ষ লক্ষ পর্যটক সেখানেই চাই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
বাংলাদেশ থেকে সিকিমে যাবার জন্য কি ভিসার প্রয়োজন হয়
বাংলাদেশ থেকে সিকিমে যাবার জন্য কি ভিসার প্রয়োজন হয় এই প্রশ্নটি
অনেকেরই থাকে। হ্যাঁ এই কথা সত্য যে বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাওয়ার জন্য
ভিসা প্রয়োজন হয় ভারতীয়। কারণ ভারত একটি আলাদা দেশ। আর সেই দেশে
যাওয়ার জন্য অবশ্যই ভিসার প্রয়োজন হবে। ভিসা না ছাড়া আপনি যেতে পারবেন
না। তার জন্য আপনার একটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে বৈধ।
আর ওই পাসপোর্ট এর মেয়াদ নূন্যতম ছয় মাস থাকতে হবে। আর আপনার একটি ভিসা
লাগবে ভারতীয়। তাহলে আপনি যেতে পারবেন সিকিম। আর এই
সিকিম যাওয়ার জন্য কোন পারমিটের প্রয়োজন হয় না। আপনি বাংলাদেশ থেকে
হোটেল বুকিং করে সিকিম যেতে পারবেন। তারপরে আপনার ভোটের আইডি কার্ড
পাসপোর্ট ফটোকপি আর আপনার দুই কপি ছবি কোন একটি ট্যুর এজেন্সিকে দিয়ে।
কোথায় কোথায় ঘুরবেন সেগুলনের পারমিট আপনি তৈরি করে নিতে হবে। কারণ
সিকিম হল চীনের পার্শ্ববর্তী একটি রাজ্য। তাই সেখানে যেতে গেলে
আপনাকে অবশ্যই পারমিট করতে হবে তা না হলে আপনি যেতে পারবেন না। কারণ
সেখানে ইন্ডিয়ান বিএসএফ ও সেনাবাহিনী দুজনার পাহারা দেয় বর্ডারে। আর
কিছুদূর পরপরই চেক পোস্ট করবে সেখানে আপনার পারমিট গুলো তারা চেক করবে।
আর তার কারণ হলো আপনি কি এখানে আসার জন্য পারমিট করেছেন না করেননি সেগুলোই তারা
চেক করে। আবার সেগুলো কি অরিজিনাল নাকি অবৈধ সেগুলোই তারা দেখে। কারণ
চীনের পার্শ্ববর্তী রাজ্যই হল সিকিম তার জন্য তারা চেক করে। বলতো এই
কারণেই পারমিট এর প্রয়োজন হয়। আর পারমিট করতে বেশি সময় লাগে না আপনি
যদি রাতে দেন তাহলে সকাল বেলায় আপনি পেয়ে যাবেন।
সিকিমের আয়তন কত
সিকিমের আয়তন কত এই প্রশ্নটি আমাদের সবার মনে আসে। কারণ আমরা এক
জায়গায় ঘুরতে যাব সেই জায়গা কেমন ভালো কি খারাপ। সেখানকার পরিবেশ কেমন
ও সেখানে আবহাওয়া কেমন, এবং সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
কেমন, ইত্যাদি এসব বিষয় জানার পরে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু আমাদের
মনে আর একটি প্রশ্ন এসেছে সেখানে আয়তন কত। আর এইগুলো বিষয় সবারই জানা
খুবই প্রয়োজন।
আমরা ছোটবেলায় স্কুল থেকে বা কলেজ থেকে শিক্ষা সফরে গিয়েছি। বই
পড়ে যে জ্ঞান আপনার অর্জন না হবে আপনি যদি কোথায় শিক্ষা সফ এ যান
তাহলে বাস্তব জীবনে আপনি সেই জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। তার জন্য
প্রতিটি মানুষেরই উচিত ঘুরতে যাওয়া। । আর ঘুরতে গেলে আপনি অনেক কিছু শিখতে
পারবেন। বিভিন্ন মানুষের সাথে আপনি চলাফেরা করতে পারবেন।
কথাবার্তা বলতে পারবেন তারা কি কালচার নিয়ে আছে সেগুলো আপনি জানতে
পারবেন। তারা সেখানে কি কি কাজ করে ইত্যাদি আরো অনেক কিছু আপনি জানতে
পারবেন। সিকিমের আয়তন হলো ৭০৯৬ বর্গ কিলোমিটার ও
২৭৪০ বর্গমাইল। আর সিকিমের পাশেই রয়েছে চীন ভুটান ও
নেপাল।
এগুলো হলো সিকিম রাজ্যের সাথে বর্ডার শেয়ার করে। আর সিকিমে অনেক সুন্দর
সুন্দর জায়গা আছে।
সিকিমের রাজধানী কি
সিকিমের রাজধানী কি এসব প্রশ্ন আমাদের মাথায় সব সময় আছে। আর এগুলো
প্রশ্ন আশা ও স্বাভাবিক কারণ আমি এক জায়গায় যাব সেই জায়গার আয়তন কত
জনসংখ্যা কত রাজধানী কি এগুলো আমাদের জানতে হবে। আর এইগুলো জানলে আমাদের
সাধারণ জ্ঞান অনেক পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। আর মানুষ সমাজে চলার জন্য জ্ঞানের
প্রয়োজন রয়েছে। সিকিমের রাজধানী হলো গ্যাংটক।
আর এই সিকিমকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে থাকে। যেমনঃ পূর্ব ও
উত্তর মূলত এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। আর এই দুই জায়গায় অনেক
সুন্দর সুন্দর পর্যটন স্থান আছে দেখবার মত। আর সিকিমের এত সুন্দর আবহাওয়া
সৌন্দর্যর জন্য প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক সেখানে যায় সিকিমের প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। আর বাঙ্গালীদের জন্য তো এটি একটি জনপ্রিয়
জায়গা বিশেষ করে বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য।
এর কারণ হলো বাংলাদেশ থেকে খুবই কাছে অন্য দেশের তুলনায়। কারণ আপনি যদি
ইউরোপ কান্ট্রিতে যান ঘুরতে তাহলে আপনার অনেক টাকার প্রয়োজন
পড়বে। কিন্তু অল্প টাকার মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটি দিয়ে ভালো একটি
জায়গা সেটি হল ভারতের রাজ্য সিকিম। আর সিকিমে যেহেতু বরেফ
বা স্নো ফল পড়ে। আর এটি দেখার জন্য প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টুরি
সেখানে যায়।
সিকিমে যাবার সেরা সময়
সিকিমে যাবার সেরা সময় আর এই প্রশ্নটি আমাদের সবার মাথায় আসে। আর এ
প্রশ্নটি আসা স্বাভাবিক। কারণ আপনি একটি জায়গায় ঘুরতে যাবেন। সেই
জায়গা সৌন্দর্য জেনে থাকলে সেই চাকরি করতে যাচ্ছেন তাই কিনা। আর আপনি তো
এটাও অবশ্যই জানতে ইচ্ছে করবে যে সিকিমে যাওয়ার সেরা সময় কোনটি। আর
এগুলো ছোটখাটো বিষয় সব জেনে সেখানে যাওয়া উচিত হবে।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মে মাস এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে
সিকিমে যাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো এটি। এছাড়াও সিকিমের সারা বছরই
যাওয়া যায় যেমন পশ্চিমা দক্ষিণ সিকিমে সারা বছরই যাওয়া যায়। এবং উত্তর
সিকিমে প্রচন্ড বৃষ্টির ফলে ধ্বস নামে সেজন্যই সেখানে যাওয়া যায়
না। আর আপনি যদি নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে যান তাহলে অনেক জায়গায়
যেতে পারবেন না।
এর কারণ হলো এই সময় সিকিমে প্রচন্ড পরিমাণ পরে পরে। যার ফলে রাস্তা করে
পেয়ে ঢাকা থাকে। আর গাড়ি যদি চলাচল না করতে পারে। তাহলে আপনি তো
সেখানে পৌঁছতে পারবেন না। তার জন্য আপনাকে দু একটি দার্শনিক স্থান দেখে
ফিরে আসতে হবে বাকিগুলো দেখতে পাবেন না। সেই জন্য আমার মতে বেস্ট সময় হল
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মে মাস এবং নভেম্বর থেকে অক্টোবর এইটা হল উপযুক্ত সময়
সিকিমে যাওয়ার জন্য।
সিকিমে যেয়ে কোথায় থাকবেন
সিকিমে যেয়ে কোথায় থাকবেন এটা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়। কারণ আপনি যদি কোথাও ঘুরতে যান তাহলে থাকবেন কোথায় সবার আগে
আমাদের মাথায় এই প্রশ্নটা আসে যে কোথাও ঘুরতে গেলে থাকব কোথায়। যেহেতু
আমরা দেশের বাহিরে যাব তার জন্য আমাদের আগে থেকেই হোটেল বুকিং করে যেতে হবে। আর
যদি বুকিং করে না যাই তাহলে আমরা সিকিমে যেয়েও হোটেল বুকিং করে থাকতে পারব।
আর আপনি সিকিমে এভেইলেবল হোটেল পেয়ে যাবেন। আপনি সিকিমের যেকোনো জায়গায়
গেলে হোটেল পাবেন। সিকিমের রাজধানী হলেও গ্যাংটক আর গ্যাংটকের এমজি
মার্কেটে শপিং করতে পারবেন খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন তারা আশেপাশেই বার এমজি
মার্কেট সামনেও আপনি অনেকগুলো হোটেল পেয়ে যাবেন আপনার থাকার জন্য। আর এই
হোটেলের ভাড়া বিভিন্ন রকমের হতে পারে।
আপনি যেমন রুমে থাকতে যাবেন সে রকম টাকা আপনার খরচ হবে। আপনি যদি ভালো রুম
নিতে চান তাহলে আপনার পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা লাগতে পারে এক রাতের
জন্য। আর আপনি যদি মিডিয়াম রুমে থাকতে চান তাহলে দুই থেকে চার হাজার
টাকার মধ্যে আপনি ভাল রুম পাবেন। আর এছাড়া নরমাল রুম পাওয়া যায় সিকিমে
সেগুলো এক থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
সিকিমের দার্শনিক স্থানগুলো কি কি
সিকিমের দার্শনিক স্থানগুলো কি কি এগুলোতো জেনেশুনেই সেই জায়গাতে
মানুষে যায়। কারণ আপনি এক জায়গায় ঘুরতে যাবেন তার পরিবেশ কেমন
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমন থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে কিনা গাড়ি ঘোরার
যাতায়াতের ব্যবস্থা। এগুলো সব বিষয় ঘটনাটি জেনে পরে একজন মানুষ
সেখানে যায়। আর সিকিমের দার্শনিক স্থান অনেকগুলো রয়েছে যা আপনি
একদিনে দেখে শেষ করতে পারবেন না।
তো চলুন আমরা জেনে নেই সিকিমের দার্শনিক স্থানগুলোর নামঃ
- সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক শহর এটাও খুব জনপ্রিয়
- পেলিং(পশ্চিমের একটি ছোট্ট শহর)
- লাচুং উত্তর সিকিমে অন্তর্গত তিব্বতের বর্ডার এর কাছে অবস্থিত
- সাঙ্গু লেক
- ইয়ংথাম ভ্যালি
- জিরো পয়েন্ট
ইত্যাদি এগুলো ছাড়াও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর দার্শনিক ও প্রাকৃতিক জায়গা
রয়েছে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। আপনি যদি একবার চান এই সিকিমে তাহলে
আপনি বারবার যেতে মন চাইবে সেখানে। এর কারণ হলো সেখানে প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য এতটাই ভালো যেটা দেখলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন।। এবং প্রকৃতির
প্রেমে পড়ে যাবেন যে প্রকৃতিও এতটা সুন্দর হতে পারে।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে আর এইটা হল সবারই প্রশ্ন থাকে
যারা বাংলাদেশ থেকে যাবে। তো আমি এই কনটেন্টে বলে দিয়েছি যে বাংলাদেশ
থেকে সিকিম যাওয়ার উপায় গুলো। আপনি যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে এই
কনটেন্টে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে কিভাবে যেতে
পারবেন। তো আমি আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে কমেন্ট করেছেন
তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর এতটুকুই।
এসআর এটুজেড এরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url