১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে যে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করা যায়। হ্যাঁ ১০ হাজার টাকা দিয়েও স্বল্প পরিসরে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এমন সব আইডিয়া আমি আপনাদের শেয়ার করব আজকে।১০-হাজার-টাকা-দিয়ে-ব্যবসা-শুরু-করুন
বর্তমান সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সাধারণ জনগণ যেভাবে বেকারত্বের শিকার হচ্ছে। আর এই বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তো চলুন আমরা জেনে নেই কি কি ব্যবসা করা যায়।

পেজ সুচিপত্রঃ ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন

১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন

১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। যে ১০ টাকা দিয়েও ব্যবসা শুরু করা যায়। আমাদের দেশে অনেক সমস্যা রয়েছে এর জন্যই আমাদের দেশের অনেক মানুষ এখন বেকারত্বের শিকার। এর কারণ হলো আমাদের দেশের দিন দিন যেভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে মানুষ বেকার হচ্ছে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মানুষ কিভাবে বেকার হচ্ছে। 

আর এমন ধরনের প্রশ্ন আপনার মাথায় স্বাভাবিক। এর কারণ হলো আগে আমাদের দেশের জনসংখ্যা অল্প ছিল এখন তা ১৮ কোটির উপরে রয়েছে। তাই সরকার তো চাইলে ১৮ কোটি মানুষকে কাজ দিতে পারবেনা। কেউবা চাকরি করবে কেউ অন্যান্য কাজ করবে। মূলত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবসা করা উচিত। 

আর ব্যবসা করার মাথায় আসলে আমাদের মাথায় সর্বপ্রথম আসে মূলধনের কথা। আপনি যেকোন ব্যবসা করেন না কেন মূলধনের প্রয়োজন অবশ্যই পড়বে। আর আপনি এই মূলধন ছাড়া ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। অনেক রকমের ব্যবসা আছে অনেক টাকার প্রয়োজন হয় সেই ব্যবসা করার জন্য। তো আমি আপনাদের মাঝে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ২৫ রকমের ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে এসেছি। 

১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে। আপনারা অনেকেই ভাবছেন আমরা ব্যবসা শুরু করব কিন্তু টাকার জন্য ব্যবসা শুরু করতে পারছি না। কারণ ব্যবসা করার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন পড়ে আর এত বড় পুঁজি আমাদের কারণেই এর জন্য আমরা ব্যবসা শুরু করতে পারিনা। তাই আমি আপনাদের মাঝে ১০০০০ টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে এসেছি। তো চলুন জেনে নেই যে কি কি আইডিয়া রয়েছে। 
  • ১। মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানঃ আপনি যদি মোবাইল সার্ভিসিং করা জানেন তাহলে আপনি মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। আর মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিতে আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন পড়বে না। শুধু আপনাকে এই কাজ জানতে হবে। আর আপনি যদি দোকান দেওয়ার মত টাকা না থাকে তাহলে আপনি কোন মোবাইল ফোনের দোকানে থেকে সার্ভিসিং এর কাজ করতে পারেন। 
  • ২। চায়ের দোকানঃ আপনার কাছে যেহেতু পুঁজি অল্প সেতু আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কোন ব্যবসায়ী ছোট নয় অনেক ছোট থেকে বড় হয়। আর শুধু আপনি চা বেচবেন তা না চায়ের সাথে আরো অনেক আইটেম রয়েছে যেমন বিস্কুট কেক পাউরুটি ইত্যাদি। আর এ ব্যবসায় আপনি মনোযোগ সহকারে করলে অনেক লাভবান হতে পারবেন। 
  • ৩। মোবাইল রিচার্জ এর দোকানঃ আপনার কাছে যদি পুঁজি অল্প থাকে তাহলে আপনি এই মোবাইল রিচার্জ এর দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আর এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার খুব বেশি টাকার প্রয়োজন থাকার দরকার নেই। আপনার কাছে যদি ১০ হাজার টাকা থাকে তাহলে আপনি এভাবে শুরু করতে পারবেন। যেহেতু বর্তমান সময়ে সবাই ফোন ব্যবহার করে সেজন্য রিচার্জ করে আর এর রিচার্জের ব্যবসা করলে আপনি লাভ হয়ে নিতে পারবেন। 
  • ৪। পাইভেট সেন্টারঃ আপনার কাছে যদি অল্প টাকা থাকে তাহলে আপনি প্রাইভেট সেন্টার খুলতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে। আর আপনাকে অবশ্যই ছাত্রদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং তাদের ভালোভাবে বোঝাতে হবে। আপনার পড়ানো যেন তাদের ভালো লাগে এবং তাদের যেন রেজাল্ট ভালো হয় তাহলে আরো স্টুডেন্ট কিভাবে আর যা খেলে আপনি লাভবান হতে পারবেন। 
  • ৫। নাচ গান বা চিত্র অংকন স্কুলঃ দিন দিন যেহেতু আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনেক পরিমাণ বৃদ্ধি  পাচ্ছে। তাই আপনি যদি নাচ গান বা চিত্র অঙ্কনের একটি স্কুল খুলে তাদেরকে যদি নাচ গান চিত্র অঙ্কন শিখন তাহলে আপনি তাদের থেকে টাকা পাবেন। আর এই কাজ করেও আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন এর জন্য আপনাদের। 
  • ৬। মেকআপ আর্টিস্টঃ আপনারা যারা মেকাপের উপরে ভালো একটি অভিজ্ঞতা রয়েছে আপনারা চাইলেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসাতে রূপান্তর করতে পারেন। যেহেতু মেয়েরা মেকআপ করতেও ভুরু তুলতে অনেক পছন্দ করে। আর মেয়েরা পায় প্রতি সপ্তাহে বিউটি পার্লারে যায়। আর আপনি যদি একটি বিউটি পার্লার দিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনার লাভবান হবেন এর জন্য আপনার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে। 
  • ৭। ফলের দোকানঃ গ্রাম হোক বা শহর সব জায়গায় ফলের চাহিদা রয়েছে। আর আপনি যদি এই ফলের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনি লাভবান হতে পারবেন এর জন্য আপনার পূর্বের কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু আপনাকে একটি বিশেষ স্থানে বাঁচান করতে হবে। যেমন ধরুন হসপিটালের আশেপাশে অথবা বাসস্ট্যান্ডের কাছে অথবা রেলস্টেশনের কাছে অথবা লঞ্চ এর কাছে আপনি যদি ফলের দোকান দেন তাহলে আপনি অনেক লাভবান হবেন। এই সব জায়গায় ফল অনেক বিক্রি হয়ে থাকে। 
  • ৮। সিঙ্গারা ও সমচার দোকানঃ আপনার যদি অল্প পরিমাণ টাকা থাকে তাহলে আপনি চাইলে এই সিঙ্গারাও সমচার দোকান দিতে পারবেন। আর এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে সিঙ্গারা সমচা তৈরি করা জানতে হবে। আর এই ব্যবসার দোয়ার জন্য আপনাকে একটি বিশেষ স্থানে প্রয়োজন পড়বে যেমন স্কুল কলেজের সামনে যদি আপনি এই ব্যবসা দিতে পারেন তাহলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন। 
  • ৯। দর্জির দোকানঃ দিন দিন এই দর্জির দোকানের ব্যবসা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর কারণ হলো দিন দিন যেভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে মানুষের পোশাকের প্রয়োজন পড়ছে। তারা বাজার থেকে সিট কাপড় কিনে দর্জির দোকানে যে তাদের পড়ার পোশাক তৈরি করে নিচ্ছে। আর এই ফলে দর্জির দোকানের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে তাই আপনি যদি এভাবে ব্যবসা করেন তাহলে আপনি লাভবান হতে পারে না আর এই ব্যবসা করার জন্য সল্প টাকার বিনিময় হয়ে যাবে। 
  • ১০। লন্ডিও ক্লিনিং সার্ভিসঃ দিন দিন এই ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর কারণ হলো মানুষকে পোশাক পড়তে হবে তা না হলে সে বাহিরে বের হতে পারবে না। আর একটি মানুষের একটি পোশাক থাকে না অনেকগুলো পোশাক থাকে তাই সে পোশাকের যত্ন নিতে এসে আয়রন করে নেয়। আর সেই পোশাক ওয়াশও করে নাই তাই আপনি যদি লন্ড্রি ও ক্লিনিং সার্ভিসের দোকান দেন তাহলে আপনি অনেক লাভবান হবেন। 
  • ১১। পেপার ব্যাগ বা ঠোঙ্গা তৈরিঃ আগে যদি এই পেপার ব্যাগ ও ঠুঙ্গা তৈরির ব্যবসা করেন। তাহলে আপনি স্বল্প সময়ের বিনিময়ে লাভ বানাতে পারবেন আর এর চাহিদা মার্কেটে অনেক রয়েছে। এর কারণ হলো আপনি যদি বাজার থেকে কোন পণ্য কিনেন তাহলে আপনার কে পেপার ব্যাগ অথবা ঠোঙ্গা তে করে সেই জিনিস দেয়। সেই জন্য আপনি যদি এই ব্যবসা করেন তাহলে আপনার অনেক ভালো হবে। আর অল্প টাকার বিনিময়ে এই ব্যবসা অনেক লাভজনক হবে। 
  • ১২। ফাস্টফুডের দোকানঃ দিন যেভাবে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে আর আপনি যদি ব্যবসা করবেন মনে করেন অল্প টাকার বিনিময়ে যেমন ১০ হাজার টাকা দিয়ে যদি আপনি ব্যবসা শুরু করতে যার। তাহলে আপনি ফাস্টফুড এর দোকান দিতে পারেন। আর এখন মানুষ ঘরের খাবারের চেয়ে বাইরের খাবার অনেক পছন্দ করে থাকে। আর আপনি যদি এই ফাস্টফুডের দোকান দেন তাহলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন এ ব্যবসা করার মাধ্যমে। 
  • ১৩। কার্ড ছাপানোর দোকানঃ দিন দিন এই ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ কারণ হলো প্রতিনিয়তই মানুষের বিয়ে অন্নপ্রাশন শ্রাদ্ধ ইত্যাদি আরো অনেক কিছু অনুষ্ঠান হয়ে থাকে সেগুলোর জন্য কাঠ ছাপানো প্রয়োজন হয়। তারপর বিভিন্ন ক্যালেন্ডার ব্যবসার হিসাবের খাতা এইসব তৈরি করে। আর আপনি যদি এই কার্ড ছাপানোর দোকান দেন তাহলে আপনি অনেক লাভবান হবেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে একটি কার্ড ছাপানো মেশিন। আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন। 
  • ১৪। খাবারের হোম ডেলিভারিঃ অনেকে আছে প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে থাকে তারা বাড়িতে খাবার খেয়ে আসে না আর আপনি যদি এই হন ডেলিভারি খাবারের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনি অনেক লাল বানাতে পারবেন। আর এই ব্যবসা করার জন্য আপনার দশ হাজার টাকার প্রয়োজন পড়তে পারে। তাদের ঠিকানা দিয়ে দেবে আর আপনি সেগুলো ঠিকানা অনুযায়ী তাদের কাছে খাবার গুলো পৌছে দেবে। 
  • ১৫। ট্যুর গাইড ও চিকিৎসা গাইডঃ দিন দিন এখন মানুষ এত পরিমান কাজ করে যে ঘুরে বেড়ানোর সময় পায়না। আর অনেকেই আছে যে কাজের ফাঁকে ঘোরার জন্য সময় বের করে। কিন্তু তারা জানে না যে কোথায় যে কি কি করতে হয় থাকতে হয় এসব বিষয়ে তাদের জ্ঞান খুবই কম। আর আপনি যদি এই সকল বিষয়ে যদি ধারণা থাকে। তাহলে আপনি তাদের সাথে গাইড হয়ে যেতে পারেন। আর এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার টাকার প্রয়োজন পড়বে না। 
  • ১৬। ওয়েডিং প্লানারঃ দিন দিন যেভাবে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে এর ফলে দেশে অনেক অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে। আর আপনি যদি এই ওয়েডিং প্লানার, বা ডেকোরেশনের কাজ করতে জানেন তাহলে আপনি অনেক লাভবান হবেন। আর এই ব্যবসা চাহিদা অনেক রয়েছে। আট দিন দিন এই ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আপনি চাইলেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 
  • ১৭। অনলাইনের মাধ্যমে বই বিক্রিঃ এই ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় এর কারণ হলো মানুষ বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখার জন্য বইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। যেমন অনেক মানুষ আছে কোরিয়া যাবে তার জন্য কোরিয়ার বইয়ের প্রয়োজন তারা তো লাইব্রেরীতে কোরিয়ার বই পায়না আর আপনি যদি এগুলো কোরিয়ার বা ইতালিয়ান বই অনলাইন এর মাধ্যমে বিক্রি করেন তাহলে আপনি এই ব্যবসার মাধ্যমে লবণ হতে পারবেন আর এই ব্যবসা শুরু করার জন্য ১০ হাজার টাকার প্রয়োজন পড়বে। 
  • ১৮। পেয়ারার দোকানঃ যেহেতু পেয়ারা হল সারা বছরই পাওয়া যায়। আর এই পেয়ারা খেতে অনেক মিষ্টি এবং সুস্বাদু। আর বাজারে এই পেয়ারা চাহিদা অনেক রয়েছে। আর আপনি যদি এই পেয়ারার দোকান দেন তাহলে আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে এই পেয়ারার ব্যবসা শুরু করতে পারেন আর এই ব্যবস্থা দিন দিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 
  • ১৯। ছোট পরিসরের রেস্টুরেন্ট ব্যবসাঃ দিন দিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি ছোট পরিসরে এই রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার ভালো রাধুনী ও ওয়েটার লাগবে। আপনি চাইলে ছোট করে ব্যবসা করার জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন।  
  • ২০। বিদেশি ভাষা শেখানোঃ আপনি যদি বিদেশী ভাষা জানেন তাহলে আপনি আপনার এই স্কিল কাজে লাগিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যে বিদেশি ভাষার শেখানো সেন্টার। আর দিন দিন মানুষ দেশে থাকার বদলে বিদেশের কাজ করার জন্য অনেক মানুষ হয়ে যায়। এর কারণ হলো দেশে কর্ম সংস্থার অভাবের জন্য মানুষ বিদেশে যায়। আর এখন বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষই বিদেশের শ্রমিক। আপনি চাইলে বিদেশী ভাষা শেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। 
  • ২১। অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য বিক্রিঃ দিন দিন মানুষ বাড়ি থেকে বের হয় না অত। আপনি যদি উন্নয়নের মাধ্যমে আপনার পণ্য বিক্রি করে থাকেন তাহলে আপনার লাভবান হতে পারবেন। আপনার যে কোন পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে অ্যাড তৈরি করে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে হবে। আর যে ব্যক্তির সেই পণ্য পছন্দ হবে সেই আপনাকে এসএমএস করে জানাবে আমার এই পণ্য প্রয়োজন এভাবে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। 
  • ২২। অনলাইন শিক্ষকতাঃ বর্তমানে এখন আমরা ডিজিটাল যুগের বসবাস করি। যার ফলে আমাদের পাইভেট কোচিং সেন্টারে যাবার প্রয়োজন পড়ে না ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে আমরা ক্লাস করতে পারি। আর আপনি যদি একটু ভালো শিক্ষক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষকতা করে আয় করতে পারবেন।
    • ২৩। কাঁচাবাজারের দোকানঃ এই ব্যবসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা। এর কারণ হলো মানুষের প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন আলু পটল শাকসবজি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু মানুষের প্রয়োজন পড়ে আর আপনি যদি এগুলো ব্যবসা দেন তাহলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন। আর দিন দিন মানুষের চাহিদা অনেক রয়েছে এগুলো জিনিসের উপরে। আর ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন কারন এই কাঁচা বাজারের দোকান। 
    • ২৪। ফ্রেশ ফলের জুসের ব্যবসাঃ এখন এই ফ্রেশ ফলের জুসের ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষ অনেক কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তারপরে এই ফ্রেস ফলের জুস খেয়ে অনেক শান্তি পাই। আর আপনি যদি চান তাহলে এই ফ্রেশ কলের জুসের ব্যবসা করতে পারেন এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে ১০ হাজার টাকা। শুধু আপনি একটি জোস মেকার ও ফল খেলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 
    • ২৫। ডিম এর দোকানঃ বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ প্রতিটি মানুষ সকালে নাস্তার ডিম দিয়ে শুরু করে এবং রাত্রেও সিদ্ধ ডিম খায়। তাই জন্য ডিমের অনেক প্রয়োজন রয়েছে আর এই ডিম সারা বছর পাওয়া যায়। আপনি যদি টিমের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন। আর এই ব্যবসা শুরু করার জন্য ১০ হাজার টাকা প্রয়োজন পড়তে পারে। 

    ১০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে ব্যবসা শুরু করা যায় 

    ১০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে ব্যবসা শুরু করা যায় আর এই টা আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থেকে থাকে। যে কিভাবে আমরা ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করব। হ্যাঁ এই কথা ও ঠিক যে ১০ হাজার টাকা দিয়েও ব্যবসা শুরু করা যায়। আপনাকে ব্যবহার শুরু করার আগে আপনার দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন পড়বে। এর কারণ হলো আপনি যদি চান তাহলে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। 

    আর আপনি যদি মনে করেন ১০ হাজার টাকা দিয়ে আবার এমন কি ব্যবসা করা যায়। এটা তো কোন লাভই হবে না, তো আপনার এই সম্পূর্ণ ধারণাটি ভুল। ১০ হাজার টাকা দিয়েও লাভজনক ব্যবসা করা যায়। মানুষের প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজন পরে আপনি চাইলে সেগুলো এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর এর ফলে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু এর জন্য আপনাকে ব্যবসা করার মন মনের কথা প্রয়োজন হবে। 

    আপনার যদি মন মানসিকতা না থাকে কারো সাথে তাহলে আপনি সেই ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন না। তাই সবার প্রথমে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে নিজের কাজের উপরে আর নিজের উপরে বিশ্বাস রাখতে হবে তাহলে আপনি সেই কাজের উপরে সকলে দিতে পারবেন। আর আমি ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া দিয়েছি আপনি চাইলে এগুলোর মধ্যে একটি ব্যবসা করতে পারেন। 

    ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য স্থান নির্বাচন করুন

    ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য স্থান নির্বাচন করুন আপনাকে অবশ্যই ভালো একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। আপনি যত টাকা দিয়েই ব্যবসা করেন না কেন আপনার যদি স্থান খারাপ হয় সেখানে যদি লোকজন না আসে তাহলে সেখানে আপনি ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন না। ধরুন আপনার একটি রেস্টুরেন্ট আছে অনেক টাকা খরচ করে আপনি তৈরি করেছেন। 
    ১০-হাজার-টাকা-দিয়ে-ব্যবসা-করার-জন্য-স্থান-নির্বাচন-করুন
    কিন্তু আপনার রেস্টুরেন্টের আশেপাশে লোকজন ঘোরাঘুরি করে না বা যাতায়াত করে না বা সেখানে লোকজন অত আসে না। তাহলে আপনি সেখানে রেস্টুরেন্ট খুলে টাকা তো আয় করতে পারবেন না উল্টো আপনার অনেক লোকসান হয়ে যাবে রেস্টুরেন্ট করার ফলে। তাই আপনি যত টাকা দিয়ে ব্যবসা করেন না কেন আবার যত কম টাকা দিয়ে ব্যবসা করেন না কেন তার জন্য আপনার ভালো একটি স্থান নির্বাচন করতেই হবে।
    আর ভালো স্থানের ফলে আপনার ব্যবসাও অনেক ভালো হবে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ভালো স্থান কি জন্য প্রয়োজন। যেখানে ধরণের লোকজন বেশি থাকে চলাফেরা বেশি করে তাদের যাওয়া আসার সময় কিছু জিনিসের প্রয়োজন পড়ে থাকে তাহলে তারা সেগুলো দোকান থেকে ক্রয় করে থাকে আর এর ফলে আপনার সেই জিনিসগুলো বিক্রি করা হয়ে যায়। আর যার ফলে আপনি ভালো টাকা পাবেন।

    ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করার জন্য কি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন

    ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করার জন্য কি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রশ্নটি আমাদের সবারই মাথায় আসে যে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য কি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে আর এই গুলো প্রশ্ন আসা আমাদের মাথায় স্বাভাবিক। এর কারণ হলো যে আপনি যেকোনো ব্যবসা করেন না কেন তার জন্য আপনার পূর্বের কিছু অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে। আর তা না হলে আপনার ব্যবসা শুরু করো সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। 

    এখন আপনার মনে প্রশ্নের ব্যাপারে যে অভিজ্ঞতা না থাকলে আমি কেন সফল করতে পারবো না। আপনার যদি পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা থাকে আর আপনি যদি অভিজ্ঞতা দিয়ে সেই কাজ করেন তাহলে আপনি খুব সহজেই সেগুলো কাজ বুঝতে পারবেন ও আরো উন্নত করতে পারবেন। যার ফলে আপনি আপনার ব্যবসায় অনেক লাভবান হতে পারবেন। আর আপনার যদি পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা না থাকে। 

    তাহলে আপনি সেই কাজগুলো শিখতে হবে আর এর জন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে আর লসও লাগতে পারে। এজন্য বলা হয়েছে যে আপনি যেই কাজ করুন না কেন পূর্বে যদি কোন কথা থাকে তাহলে সেই কাজ অনেক ভালো হয়। কারণ আমি সেই কাজ করতে আপনার কোন অসুবিধা হবে না আপনি সেসব কাজ জানেন। আর এরপরে আপনি সেই কাজ করে দেওয়ার অর্জন করতে পারবেন। 

    ব্যবসা শুরু করার জন্য পরিকল্পনা করতে হবে

    ব্যবসা শুরু করার জন্য পরিকল্পনা করতে হবে যে আপনি কি ব্যবসা শুরু করবেন। কোন ব্যবসার উপরে আপনার পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা এগুলো জিনিস অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর উপরে আমি আগেই বলেছি দশ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসা আইডিয়া আপনি চাইলে ওই গুলোর মধ্যে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে। 
    ব্যবসা-শুরু-করার-জন্য-পরিকল্পনা-করতে-হবে
    এখন আমাদের মাথার সবারই প্রশ্ন আসতে পারে যে পরিকল্পনা আবার কিভাবে করব আমরা। আমরা তো ব্যবসা শুরু করব তাহলে পরিকল্পনার কি প্রয়োজন রয়েছে। আর এগুলো আমাদের সবারই জানা উচিত আসলে পরিকল্পনারও প্রয়োজন রয়েছে। আমি যে ধরনের ব্যবসা করব সেটা পূর্বের অভিজ্ঞতা যদি থাকে তাহলে আবার সেই কাজ করতে ভালো হবে। আর আমাদের এই জিনিসটাও লক্ষ্য রাখতে হবে যে আমাদের ক্লাইন্ট কারা। 

    আমরা কোন ক্লায়েন্টের টার্গেট করব আমাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য। ধরুন আমাদের ক্লায়েন্ট ছেলে মেয়ে উভয় বয়স ১৬ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এই বয়সের মানুষেরা কি করতে পছন্দ করে সেগুলো ভেবে আমাদের ব্যবসা শুরু করতে হবে। আর আমাদের এটা লক্ষ্য রাখতে হবে এই বয়সে ছেলে মেয়ে কোথায় কোথায় ঘুরতে বা যেতে পছন্দ করে। আমরা যদি এগুলো লক্ষ্য রেখে ব্যবসা শুরু করি তাহলে অবশ্যই আমরা আশা করে লাভবান হতে পারব। 

    ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসায় সফল হওয়ার অতিরিক্ত টিপস

    ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসায় সফল হওয়ার অতিরিক্ত টিপস যেগুলো রয়েছে যেগুলো রয়েছে। তা আমাদের সবারে জানা প্রয়োজন এর কারণ হলো দিন দিন আমাদের দেশে যেভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার ফলে আমাদের দেশের যুব সমাজ একদম বেকার হয়ে পড়েছে। যার ফলে আমি তাদের জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করার বেশ কিছু আইডিয়া নিয়ে এসেছি। 

    তো আমি এই কনটেন্ট এর উপরে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ২৫ টি ব্যবসা শুরু করা যায় এমন সব আইডিয়া আমি উপরেই দিয়ে এসেছি আগে। তো চলুন আমরা এখন জেনে নেই যে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসায় সফল হওয়ার অতিরিক্ত কিছু টিপস গুলো আমরা জেনে নেই যাতে আমরা ব্যবসা শুরু করে সফল হতে পারি। 
    ব্যবসায় সফল হওয়ার অতিরিক্ত টিপসঃ 
    • সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ভালো স্থান নির্বাচন করতে হবে
    • ব্যবসা করার জন্য আপনার পূর্বের কিছু অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে
    • আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
    • আপনার কাস্টমারদের কি প্রয়োজন তা লক্ষ্য রাখতে হবে
    • আপনার কাস্টমারদের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করতে হবে
    • আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উপরে নজর রাখুন কি করে আর উন্নত করা যায়
    মূলত আপনি যদি এগুলো টিপস ফলো করেন তাহলে আপনি ব্যবসা শুরু করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আর বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সবাই অনেক কাজ করে থাকে কিন্তু ঠিকমতো পারিশ্রমিক পাইনা। আর আপনি যদি এইসব ব্যবসার মধ্যে একটি করেন এক দুই তিন এ কিন্তু সফলতা আসে না আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে আর ধৈর্য ধরতে হবে তাহলে ঠিক একদিন এর ফল পাবেন। 

    শেষ কথাঃ ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন

    ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন যে যে ব্যবসা ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করা যায়। আমি সেইগুলো এই কনটেন্টের ওপরেই বলে এসেছি। আপনি যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে এই করলেনটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া কি কি রয়েছে। তো আমি আশা করি আপনি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে এই কন্টেন্টে পড়েছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এসআর এটুজেড এরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;

    comment url