যেসব ব্যাংক সবচেয়ে সুবিধা জনক - ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এইগুলো প্রশ্ন আমাদের সবার মাথায়
আসে। আর এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমাদের জানতে হবে কারণ আমরা এখন ডিজিটাল
যুগে বসবাস করি। সেজন্য আমাদের ব্যাংকে টাকা রাখা উচিত হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
এর কারণ হলো ব্যাংকে টাকা রাখলে সেই টাকা সুরক্ষিত থাকে। তাই আমাদের জানতে
হবে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এবং যেসব ব্যাংকে সবচেয়ে সুবিধা
জনক রয়েছে। আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে চান তাহলে এই কনটেন্টটি পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এসব প্রশ্ন আমাদের সবারে মাথায়
আসে। আর এই প্রশ্নগুলো আমাদের মাথায় আসা একটি স্বাভাবিক
বিষয়। আমরা এখন ডিজিটাল যুগের বসবাস করি। আজ থেকে ২০-২৫ বছর
আগে মানুষ বাড়িতে তাদের টাকা রেখে দিত। কিন্তু সেই টাকার কোন
নিরাপত্তা থাকতো না চুরি হওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখন ডিজিটাল
যুগে এই সবার হয় না।
মানে হলো বর্তমান সময়ে কেউ আর বাড়িতে কত টাকা একসাথে জমিয়ে রাখেনা। যারা
সচেতন নাগরিক তাদের সবার একটি করে ব্যাংক একাউন্ট আছে। আর সেই অ্যাকাউন্টের
মাধ্যমে তারা টাকা জমা করে রাখে। আর সেই টাকা ব্যাংকে সুরক্ষিত
থাকে। তো আপনি যদি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজ লাগে এই সব প্রশ্নের
উত্তর জানতে চান তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন।
এই সকল বিষয়ে জানতে আপনাদের এই কনটেন্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আপনি
যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন। তো চলুন আমরা
জানি নিজে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজ প্রয়োজন পড়ে।
- আপনি যদি ব্যাংক একাউন্ট করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম শর্ত হলো আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- এরপর হল যার নামে ব্যাঙ্ক একাউন্ট খুলতে চান তার পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি এবং ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি। এবং যাকে নমিনি করবেন তার পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি এবং ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন পড়বে।
- তারপর আবেদন ফরমের প্রয়োজন পড়বে। আর এই আবেদন ফরম আপনি ব্যাংকে গিয়ে নিয়ে পূরণ করে সেখানে জমা দিলেই হয়ে যাবে।
- আপনার সব নাম ভোটের আইডি কার্ড এগুলো দেখে নাম পূরণ করতে হবে। তারপর সেগুলোর জমা দিতে হবে।
- আপনি যদি ব্যবসার নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনার দোকানের ট্রেড লাইসেন্স সেখানে জমা দিতে হবে।
আপনারা যারা জানতেন না যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কি কি কাগজের
প্রয়োজন পড়বে। তারা এই কনটেন্টটি পড়ার মাধ্যমে বুঝে গেলেন যে
ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কি কি কাগজ প্রয়োজন পড়বে।
ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার
ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার এসব প্রশ্ন আমাদের সবারই মাথায়
আসে। আর এই প্রশ্নগুলো আমাদের মাথায় আসা একটি স্বাভাবিক
বিষয়। কারণ আমরা যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চাই তাহলে আমাদের এইসব
বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন রয়েছে। এর কারণ হলো এইগুলো
জেনেশুনে আমাদেরকে ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে। ধরুন আপনি একটা জিনিস
খেলে কি হবে এটা জানেন।
যদি সেই খাবারের খারাপ দিক থাকে তাহলে তো আপনি খাবেন না আর যদি ভালো দিক
থাকে তাহলে তো খাবেন। ঠিক তেমনি আপনি যদি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট
সম্বন্ধে ধারণা থাকে তাহলে আপনি সেই একাউন্টটি খুলবেন যেটা খুললে
আপনার সুবিধা হবে। তো চলুন আমরা জেনে নেই যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কত
প্রকার ও কি কি রয়েছে।
- স্টুডেন্ট একাউন্ট
- সেভিং একাউন্ট
- গভারমেন্ট একাউন্ট
- বিজনেস একাউন্ট
মূলত এগুলো হলো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম। আপনি চাইলে আপনার
পছন্দ মতো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। স্টুডেন্ট একাউন্ট করলে
আপনার এক টাকাও কাটবে না আবার সেভিং একাউন্ট করলে আপনার এক টাকার কাটবে
না জমা হবে। আর বিজনেস একাউন্ট করলে আপনার টাকা একটু কেটে
নেবে।
সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এই সকল প্রশ্ন আমাদের সবার মাথায়
আসে। আর এই প্রশ্নগুলো আমাদের মাথায় আসা একটি স্বাভাবিক
বিষয়। কারণ আমরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলবো তার জন্য আমাদের কোন কোন
একাউন্ট খোলা ভালো হবে এগুলো জানতে হবে। আর ইতিমধ্যে
আপনারা জানতে পেরেছেন যে ব্যাংক একাউন্ট কত ধরনের হয়ে থাকে।
আর বর্তমান সময়ে কেউ বাড়িতে টাকা রাখেনা। বর্তমান এই ডিজিটাল
যুগে সবাই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখে এবং ব্যাংকের
মাধ্যমে টাকাটা সুরক্ষিত থাকে। আর আপনি যদি জানতে চান যে সেভেন
একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে তাহলে আপনি এই কন্টেন্টটি পড়ার মাধ্যমে
বুঝতে পারবেন যে সেভেন একাউন্ট খুলতে যেসব কাগজ লাগে।
সেভিং একাউন্ট খুলতে যেসব কাগজ প্রয়োজনঃ
- সর্বপ্রথম আপনার পাসপোর্ট সাইজ দুই কপি ছবি এবং জাতির নমিনি করবেন তার পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি প্রয়োজন পড়বে। এবং দুই জনারি ভোটের আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- আর যদি আপনার পাসপোর্ট, ড্রাইভিং, বিদ্যুৎ বিল, ইত্যাদি সকল যদি কাগজ থাকে এগুলো জমা নিয়ে থাকে।
ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পারলেন যে শ্রেণী একাউন্ট খুলতে যে সকল কাগজের
প্রয়োজন পড়ে।
সেভিং একাউন্ট খুললে যে সকল সুবিধা পাবেন আপনারাঃ
- সেভিং একাউন্ট করলে আপনি ইচ্ছামত টাকা ব্যাংকে রাখতেও পারবেন। আবার যখন আপনার প্রয়োজন পড়বে তখন টাকাটা তুলে নিতে পারবেন। সেভিং একাউন্ট করলে এই অ্যাপ সুবিধা পাবেন।
- সেভিং একাউন্ট খোলার পরে আপনি অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা পেয়ে থাকবেন। তখন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন ব্যাংক এ আপা অনলাইনে মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন ব্যাংক থেকে।
- সেভিং একাউন্ট করার মাধ্যমে আপনি ব্যাংক থেকে একটি এটিএম কার্ড পাবেন। আর আপনি বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় যেয়ে এই এটিএম কার্ড থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
আপনারা যারা জানতেন না যে সেভিং একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজের
প্রয়োজন রয়েছে। এই কনটেন্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা তা
জানতে পারবেন যে সেভিং একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন রয়েছে। আর
এই সেভিং একাউন্ট করলে কি কি সুযোগ সুবিধা আপনারা পাবেন।
ব্যাংক কাকে বলে - ব্যাংক কত প্রকার
ব্যাংক কাকে বলে - ব্যাংক কত প্রকার রয়েছে এগুলো বিষয়ে আমাদের
জানতে খুব ইচ্ছা করে। কারণ আমরা ব্যাংকে একাউন্ট খুলব তাই
ব্যাংক কাকে বলে এবং ব্যাংক কত প্রকার ও কি কি
রয়েছে। তো আপনারা যারা জানেন না তারা এখনই চলুন জেনে নেই
এই কনটেন্টটি পড়ার মাধ্যমে যে ব্যাংক কাকে বলে এবং ব্যাংক কত
প্রকার।
ব্যাংক কত প্রকার রয়েছেঃ
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- বাণিজ্যিক ব্যাংক
- গ্রামীণ ব্যাংক
- জিন ব্যাংক
- বিশেষায়িত ব্যাংক
- রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক
আরো পড়ুনঃ
দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও ২০টি গুণ
তো আপনারা যারা জানতেন না যে ব্যাংক কত প্রকার তারা এই কন্টাক্ট
করার মাধ্যমে জেনে ফেললেন যে ব্যাংক কত প্রকার। ব্যাংক হল ছয়
প্রকার আর এই ব্যাংকের নামও আপনারা জেনে ফেললেন যে কত প্রকার
ও কি নামে ব্যাংক রয়েছে।
বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক ছয়টি কি কিঃ
- জনতা ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- রূপালী ব্যাংক
- কৃষি ব্যাংক
- সিক ব্যাংক বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড
মূলত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এই ছয়টি। তো এ
কনটেন্টি পড়ানো দরকার জানতে পারলেন যে ব্যাংক কাকে বলে এবং ব্যাংক
কত প্রকার ও কি কি রয়েছে এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের নাম গুলো কি কি।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে এরকম প্রশ্ন আমাদের সবার
মাথায় আসে। আর এই প্রশ্নগুলো আমাদের মাথায় আসা একটি স্বাভাবিক
বিষয়। কারণ আমাদের জানতে হবে আমরা যেখানে
টাকা জমাবো সেখান করার সকল নিয়ম আমাদের জেনে শুনে সেখানে
টাকা জমা উচিত হবে। আর এটা নির্ভর করবে আপনার ওপরে। এর
কারণ হলো আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন।
সেই হিসেবে আপনার টাকা খরচ হবে।
- আপনি যদি স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে চান তাহলে ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
- আর সেভিং একাউন্ট খোলার জন্য। স্টুডেন্ট একাউন্ট এর চেয়ে তুলনামূলক একটু বেশি থাকাই লাগে। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনার ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
আর মূলত এইগুলো হলো ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য টাকার প্রয়োজন
হয়। আপনি যে ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেই হিসেবে আপনার টাকা
জমা দিয়ে একাউন্টটি খুলতে হবে। এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে
পারে আমি যে আমি ২০০ টাকা অথবা ৫০০ টাকা দিয়ে একাউন্টটি
খুলছে এটা কি ব্যাংক নিয়ে নিয়েছে আমার কাছ
থেকে। না ব্যাংক আপনার কাছ থেকে টাকা নেয়নি। সেই
টাকা আপনার একাউন্টে জমা থাকবে।
ব্যাংকে টাকা রাখার নিয়ম ব্যাংকে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায়
ব্যাংকে টাকা রাখার নিয়ম ব্যাংকে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা
যায় এগুলো প্রশ্ন আমাদের সবার মাথায় আসে। আর এই
প্রশ্নগুলো আমাদের মাথায় আসা একটি স্বাভাবিক বিষয়। কারণ
আমাদের জানতে হবে যে ব্যাংকে কিভাবে আমরা টাকা রাখবো। আমরা
অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় এই কনটেন্টি পড়ার মাধ্যমে সেগুলো
জানতে পেরেছি এবং ব্যাংক কত প্রকার ও কি কি রয়েছে সেগুলো
বিষয়েও জেনেছি।
কিন্তু আপনি জানে না যে ব্যাংকে টাকা রাখার নিয়ম। তো
আপনি যদি না জেনে থাকেন যে ব্যাংকে টাকা রাখার নিয়ম। তাহলে
এই কন্টেন্টটি পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে আপনি ব্যাংকে টাকা
রাখতে পারবেন এবং সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায়। তো ব্যাংকে
টাকা রাখার জন্য আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। আর
ব্যাংকে টাকা রাখার জন্য আপনাকে ব্যাংক থেকে একটি
টাকা রাখার জন্য একটি চেক দিবে।
সেই চেকে লিখতে হবে যে আপনি কত টাকা জমা রাখতে চাচ্ছেন। আর
আপনার যদি স্টুডেন্ট একাউন্ট করে থাকে তাহলে আপনি সর্বনিম্ন দশ
টাকাও জমা করতে পারবেন। আর যদি অন্যান্য অ্যাকাউন্ট হয়ে থাকে
তাহলে আপনার ১০০ থেকে ৫০০ টাকা জমা রাখতে হবে সর্বনিম্ন। তো
ইতিমধ্যে আপনারা জেনে ফেললেন যে ব্যাংকে টাকা রাখার নিয়ম ও
সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায়।
শেষ কথাঃ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এই সকল বিষয় আমাদের সবারও
জানা প্রয়োজন কারণ আমরা ব্যাংক একাউন্ট খুলবো। আর এই
কনটেন্টটি আমি সবকিছু বলে দিয়েছি যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কিভাবে
খুলতে হয় কি কি কাগজের প্রয়োজন পড়ে। আরো অন্যান্য কথাগুলো
বলে দিয়েছি। তারা যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে এই কনটেন্টটি
পড়েন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন। যে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি
কি লাগে।
তো আমি আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারী এই কনটেন্টটি
পড়েছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদেরকে। এই পোস্টটি করে
যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। আর
আরো কিছু যদি জানা থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
করুন। ধন্যবাদ আজ এতটুকুই।
এসআর এটুজেড এরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url