তাই চলুন জেনে নেই যে শীতকালে সবচেয়ে ভালো লোশন রয়েছে কোনটি। এবং সেগুলো ব্যবহার করার নিয়ম কি। আর আমরা যদি এই সব বিষয় জানি তাহলে আমাদের আর শীতকালে স্কিন নিয়ে অতটা সমস্যা হবে না তাই চলুন আমরা সবকিছু বিস্তারিত।

শীতের সবচেয়ে ভালো লোশন কোনটি হবে এগুলো আমরা অনেকেই জানিনা আবার অনেকেরই জানাই এসব কথা। যদি আমাদের শরীরের কোন জিনিসকে এতটা গুরুত্ব দেই সেটা হলো আমাদের স্কিন। আমারও সবাই আমাদের স্কিনকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কারণ আমাদের মুখ অনেক সুন্দর দেখানোর জন্য আমরা অনেক কিছু ইউজ করে থাকি আমাদের ফেসে। আপনারা অনেকেই লক্ষ্য করে দেখেছেন। 

যে শীতকাল আসলে আমাদের চেহারার অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। আর গ্রীষ্মকালে দেখবেন আমাদের চেহারা অনেক গ্লেজ দেয় কিন্তু শীতকালে সেরকম দেয় না। শীতের সময় আমাদের চেহারা অনেক খারাপ হয়। তো চলুন আমরা জেনে নিজে শীতকালের সবচেয়ে ভালো লোশন কোনটি হবে যার আমাদের স্কিনে দিলে আমাদের স্কিন অনেক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। 

• ডাব সাপল বাউন্স বডি লোশনঃ এই শীতে আপনি যদি টানটান এবার সফট বডি স্কিন পেতে চান তাহলে আপনিডাব সাপল বাউন্স বডি লোশন টি ব্যবহার করতে পারেন। এর কারণ হলো এই বডি লোশনের উপাদান হল আমন রয়েল, ভিটামিন ই এবং, ময়েশ্চার সিরাম। 

• ভ্যাসলিন ইনটেনসিভ কেয়ার ডিপ ময়শ্চার বডি লোশনঃ ভেসলিন লোশন শীতের সময় খুবই একটি পরিচিত নাম এই ভেসলিন। এর কারণ হলো এটি এমন একটি ক্রিম যা ছেলে ও মেয়ে উভয়েই ব্যবহার করতে পারে। শীতকালে দেখবেন অনেকের ঠোট বাটে আপনি যদি ভেসলিন আপনার ফটো দেন তাহলে তা ঠিক হয়ে যাবে। 

• হিমালয়া হারবালস কোকো বাটার ইন্টেনসিভ বডি লোশনঃ গ্রীষ্মকালে দেখবেন আপনার চেহারা অনেক সুন্দর থাকে। কিন্তু শীতকালে তা দেখা যায় না শীতকালে আমাদের ত্বকের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে কালচে ভাব দেখা যায়। আর আপনি যদি হিমালয়া হারবালস কোকো বাটার ব্যবহার করেন তাহলে আপনার হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা সৌন্দর্যায় বৃদ্ধি করে থাকে। 

• নিভিয়া নারির্সিং লোশন বডি মিল্ক উইথ ডিপ ময়েশ্চারাইজার সিরামঃ শীতকালে এইসব সাধারণত দেখা যায় অনেকেরই ত্বক সূক্ষ্ম থাকে। তো যাদের ত্বক এই সূক্ষ্ম থাকে তারা এই নিভিয়া নারির্সিং লোশন বডি মিল্ক উইথ ডিপ ময়েশ্চারাইজার সিরাম ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার ত্বক আর সূক্ষ্ম হবে না। আগের মতই পুরনো গ্লেজ দিবে। 

বডি লোশন কি এবং কেন ব্যবহার করবেন এইগুলো প্রশ্ন আমাদের অনেকেরই থাকে আর এইগুলো প্রশ্ন আমাদের মাথায় আশায় একটি স্বাভাবিক বিষয়। কারণ এই প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের জানতে হবে তাহলে আমরা অনেক কিছু জানতেও শিখতে পারবো। তো চলুন আমরা জানি নিজে বডি লোশন কি এবং কেন ব্যবহার করব এই বডি লোশন। একটি ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্রিম বা লোশন। 

আপনাদের হয়তো অনেকেরই শরীর দুর্বল না থাকতে পারে শরীরে তখন আপনারা লেবুর শরবত বা কৌশলের রস এগুলো পান করে থাকেন। আপনার শরীরে অনেক এনার্জি বৃদ্ধি পায়। এবং আপনি আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। ঠিক তেমনি গ্রীষ্মকালে আপনার ত্বকে অনেক গ্লেজ দেয়। কিন্তু সেই গ্লাজ আর শীতকালে থাকে না। তো আপনি যদি শীতকালেও আপনার ত্বকের প্রতি যত্ন নিতে চান।

তাহলে এই ক্রিমগুলো আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। আর শীতকালে লক্ষ্য করবেন প্রায় সকল মানুষেরই ঠোঁট ফেটে যায় দিয়ে রক্ত বের হয় সেখান দিয়ে। আর আপনি যদি ঠোট ফাটা বন্ধ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভেসলিন বা মেরিল ব্যবহার করতে হবে আপনার ঠোঁটে। তা না হলে আপনার ঠোঁট ঠিক হবে না এগুলো ব্যবহার করার ফলে আপনার ঠোঁট ঠিক হবে। 

ঠিক তেমনি শীতকালে আমাদের হাত পা অনেক খসখসে হয়ে থাকে। ও রুক্ষ সুক্ষ হয়ে থাকে আর এগুলোর প্রতি যত্ন নিতে আমাদেরকেই হবে। আর এইগুলো হাত-পা খসখসে ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের বডি লোশন ব্যবহার করতে হবে। তো আমি আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন যে বডি লোশন কি এবং কেন ব্যবহার করবেন এই বডি লোশন।

ফর্সা হওয়ার বডি লোশন কোনটি এগুলো প্রশ্ন আমাদের অনেকেরই আসে। আর এই প্রশ্নগুলো আমাদের মাথায় আসা একটি স্বাভাবিক বিষয় এর কারণ হলো আমাদের অনেকেরই তো কালো হয়ে থাকে। আর আমরা কালোকে ফর্সা করার জন্য অনেক বডি লোশন ব্যবহার করে থাকি। এর ফলে আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়ে থাকে কিন্তু আমরা একটুকুও ফর্সা হতে পারি না। 

তো চলুন আমরা জেনে নিয়েছে ফর্সা হওয়ার বডি লোশন কোনটি। 

• khajana whitening body lotion: আপনি যদি বডি লোশন ব্যবহার করে ফর্সা হতে চান তাহলে আপনি এই khajana whitening body lotion টি ব্যবহার করতে পারেন। এর কারণ হলো এটি একটি থাইল্যান্ডের পণ্য আর এই পণ্যের কোন সার্টিফিকেট নেই। এই পণ্য ব্যবহার করার ফলে আপনার ঘাড়ের কালো দাগ বা আপনার স্কিনে বিভিন্ন রকমের কালো দাগ এগুলো দূর করতে সাহায্য করে এবং আপনার ত্বক অনেক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। 

• Rajkonna brightening body lotion super Radiant: আপনারা যদি বড়ই লোশন ব্যবহার করে ফর্সা হতে চান তাহলে আপনারা এই Rajkonna brightening body lotion super Radiant বডি লোশনটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করার ফলে আপনাদের ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। এর কারণ হলো এই লোশন এর উপাদান গুলো একবার দেখে নিন, আলফা আরবুতিন, রাইস ওয়াটার, ভিটামিন ই রয়েছে। আর এইগুলো আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী একটি জিনিস মূলত এই জিনিসের জন্য আমাদের ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। 

• Aveeno daily moisture lotion: শীতের সময় সব মানুষেরই ত্বক রুক্ষ সূক্ষ্ম এবং খসখসে হয়ে থাকে। মূলত তার জন্যই আমরা লোশন ব্যবহার করে থাকি। আর শীত বাদেও এগুলো লোশন সারা বছরই ব্যবহার করা যায়। Aveeno daily moisture lotion আর এই লোশনটি হলো লিকুইড। এই লোশনে রয়েছে ভিটামিন প্রোটিন এটি ব্যবহার ফলে আমাদের ত্বকের সমস্যার হবে না। 

• Milk whitening body lotion: শীতের সময় প্রায় সব মানুষেরই স্কিন একটু খারাপ হয়ে যায় মানে একটু কালো হয়ে যায়। আর যাদের আগে থেকে কালো রয়েছে তারা চাইলে Milk whitening body lotion এই লোশন টি ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো সব ব্যবহার করার ফলে আপনার ঘাড় ও মুখের দাগ সাত দিনেই ভালো হয়ে যাবে। 

বডি লোশন কি মুখে ব্যবহার করা যায় এইরকম প্রশ্ন আমাদের সবার মাথায় আসে। এইগুলো প্রশ্ন আসা ও আমাদের মাথায় স্বাভাবিক একটি বিষয়। এর কারণ হলো আমরা একটি জিনিস ব্যবহার করব তা জেনেশুনে ব্যবহার করা উচিত তা না হলে তার সাইড ইফেক্ট পরলে আমাদের স্কিনের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ শীতের সময় বডি লোশন ব্যবহার অনেক পরিমাণ বেড়ে যায়। 

আর অনেকে আছে যে এই বডি লোশন মুখেও ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে বডি লোশন ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে যে ঘন ঘন মুখে দেওয়া যাবে না। অল্প করে দিতে হবে কিন্তু দুই এক দিন পর পর। তা না হলে আপনার মুখের স্ক্রিনে জ্বালাপোড়া ব্রণ এইগুলো সমস্যা দেখা যেতে পারে তার জন্য বলা হয়েছে দু একদিন পরপর এবং অল্প করে দিতে হবে।

আর মুখের স্কিন হল খুবই পাতলা। মুখের স্কিনের জন্য আলাদা ফ্রেশ ওয়াশ তৈরি করা হয়েছে। আর বডি লোশন আপনি সব জায়গায় দিতে পারবেন আপনার স্কিল দিতে পারবেন কিন্তু আপনাকে লক্ষ্য করা যাবে বেশি না দেয়া পরে। এই কোন বিষয় লক্ষ্য রেখে আপনাকে সেগুলো ব্যবহার করা উচিত হবে। এর কারণ হলো স্কিন তো পুরো শরীরকে বোঝায় একটা হল বডি স্কিন একটা হল ফেইস স্কিন এই দুইটা আলাদা জিনিস।

শীতকালে ত্বক কেনও কালো হয়ে যায় আর এইগুলো প্রশ্ন আমাদের সবার মাথায় আসে। আর এগুলো প্রশ্ন আসাও স্বাভাবিক একটি বিষয় কারণ শীতকালে আমাদের ত্বক অনেক কালো হয়ে যায়। কারণ গ্রীষ্মকালে আমাদের ত্বক অনেক পরিমাণ ঘামে কিন্তু কালো হয় না। কিন্তু এই শীতকালে এসে আমাদের ত্বক রুক্ষ সুক্ষ খসখসে হয়ে যায়। 

আর যারা অনেক ফর্সা তাদের একটু উজ্জ্বলতা কমে যায়। অনেকেরই দেখা যায় যে শীতকালে ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজেরাই ফেসিয়াল করে থাকে বাড়িতে বসে থেকে। তারা লেবুর রস তাদের স্কিনে ব্যবহার করে কিন্তু শীতের সময় এমনিতে আমাদের ত্বক খসখসে হয়ে থাকে লেবুর রস দেওয়ার ফলে আরো খারাপ হয়ে যাবে। সেজন্য শীতের সময় লেবুর রস না ব্যবহার করাই ভালো হবে।

গরমের বডি লোশন কোনগুলো

চলুন আমরা জেনে নিজে গরমের বডি লোশন কি কি রয়েছেঃ 

শীতকালে ছেলেদের ব্যবহারের জন্য ফেসওয়াশ

শেষ কথাঃ শীতের সবচেয়ে ভালো লোশন