কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে আকর্ষণীয় ১১টি স্থানের নাম জানুন
কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ আকর্ষণীয় ১১টি স্থানের নাম জেনে
নিন। কারণ আপনি যখন কুয়াকাটা ভ্রমণ করতে যাবেন তখন আপনি সেইগুলো জায়গায়
ঘুরতে পারবেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য আপনাকে কুয়াকাটা যেতে
হবে।
কুয়াকাটা একটি খুব সুন্দর জায়গা সেখানে এমন কোন মানুষ নেই যে যেতে অপছন্দ
করে। তাই আপনি যদি কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থানসমূহ কিছু জানতে চান তাহলে
আপনাকে এই কনটেন্ট টি পড়তে হবে। এ কনটেন্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি
জানতে পারবেন ।
পেজ সূচিপত্রঃ কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ
- কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ
- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হোটেল ভাড়া
- কুয়াকাটাকে সমুদ্র কন্যা বলা হয় কেন
- কুয়াকাটা যাওয়ার উপযুক্ত সময়
- কুয়াকাটা ভ্রমণ গাইড
- কুয়াকাটার বিখ্যাত খাবার কি
- কুয়াকাটার বিখ্যাত কি
- কুয়াকাটাকে ভার্জিন বিচ বলা হয় কেন
- শেষ কথাঃ কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ
কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ
কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ জানতে অনেকে আগ্রহী হয়ে থাকে। আবার
অনেকে কুয়াকাটার দার্শনিক স্থান সম্পর্কে জানে। তুম মূলত আপনারা যারা জানেন
না তাদের জন্য এই কন্টেন্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান
সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কুয়াকাটার ১১ টি দার্শনিক স্থানের নাম হলঃ
- ১। রাখাইন পল্লীঃ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে কিছু দূরে অবস্থান করে রাখাইন পল্লী। আর আপনি এই রাখেন পল্লীতে যে তারা কিভাবে জীবন যাপন করে তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং তা উপভোগ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশ থেকে সিকিম যাবো কিভাবে
- ২। সীমা বদ্ধ বিহারঃ আর এইসীমা বদ্ধ বিহার একেলে আপনি ৩৭ মন অষ্টধাতুর বৌদ্ধমূর্তি দেখতে পাবেন। সেখানে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বী রা উপাসনা করে।
- ৩। গঙ্গামতির জঙ্গলঃ গঙ্গামতির জঙ্গল আর এটির অবস্থান কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতের পূর্বদিকে। সেখানে গঙ্গা মতি খাল রয়েছে এবং খালের পাশেই জঙ্গল রয়েছে সে জঙ্গলে যেও আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটাতে পারেন।
- ৪। কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানঃ কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান এটি কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত রয়েছে। আর এই উদ্যানটি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আর আপনারা যারা আমার মত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ভালোবাসেন তারাই সেই উদ্যানে নৌকা করে বা পায়ে হেঁটে ঘুরে আসতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশ থেকে সিকিম ট্যুর প্যাকেজ
- ৫। ফাতরার বনঃ আর এই ফাতরার বন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম দিকে। আর এই ফাতরার বনকে দ্বিতীয় সুন্দরগণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর এই ফাতরার বনে গেলে আপনি বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি দেখতে পাবেন।
- ৬। চর বিজয় সৈকতঃ মূলত এই চরটি বিজয় মাসে আবিষ্কৃত হয়েছিল সেই জন্য এই চরটির নাম বিজয় সৈকত। আর এই চড়টি তে আপনি লাল পিঁপড়ের দীপ ও বলতে পারেন। কারণ এই চরটিতে লাল পিঁপের অবস্থান অনেক রয়েছে। আর এ চরটিতে যাওয়ার জন্য আপনাকে একটি নৌকা অথবা ট্রলার ভাড়া করে যেতে হবে সেখানে।
- ৭। নিদ্রা সৈকতঃ আপনি যদি এই নিদ্রা সৈকত এ যান। তাহলে আপনি দেখতে পাবেন এক সাইডে নদী আর অন্যদিকে সৈকত রয়েছ। আর এইখানে গেলে আপনি অনেক বড় বড় ঢেউ বা জোয়ার ভাটা দেখতে পাবেন। আর এগুলো দেখে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
- ৮। জাহাজমারা সৈকতঃ আপনি এই জাহাজ মারা সৈকতে গেলে বিশাল বড় তরমুজের মাঠ দেখতে পাবেন সেখানে শুধু তরমুজ উৎপাদন হয়। আর এইখানে গেলে আপনি আরেকটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সেটি হলো সূর্যাস্ত এই সৈকত থেকে আপনি দেখতে পাবেন।
- ৯। কেরানিপাড়াঃ কেরানিপারা মূলত রাখাইনদের বাসস্থানের স্থান। আর এখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে বৌদ্ধ মন্দিরের পাশ দিয়ে যেতে হবে। সেখানে তারা কাপড় তৈরি করে, আর এই কাপড় তৈরি করাতে তারা বেশ দক্ষ এবং শীতের চাদরও ভালো তৈরি করে তারা।
- ১০। চর হেয়ার সৈকতঃ আর এই চর হেয়ার সৈকত চটি কলাগাছি নামে পরিচিতি। এর কারণ হলো এই চড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। আর এই চলে গেলে আপনি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখতে পাবেন তার সাথে পাখির ডাক কিচিরমিজি শব্দে আপনার মন ভরে যাবে।
- ১১। শুঁটকি পল্লীঃ আর এই শুটকি পড়লে নাম করা হয়েছে, কারণ এখানে মাছ শিকার করা হয় এবং সেগুলো মাছ দিয়ে শুকিয়ে শুটকি মাছ বানানো হয়। সেই জন্য এই পল্লীর নাম শুটকি পড়লি। আর এইখানে মার্চ মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত শুটকি মাছ বানানোর কাজ চলে।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন কারণ এগুলো প্রশ্ন অনেকেরই
মাথায় আসে। মূলত এর কারণ হলো আপনি এক জায়গায় ঘুরতে যাবেন সেই জায়গার
সম্পর্কে আপনাকে সাধারণ জ্ঞান থাকা উচিত। আর যদি এই সকল জ্ঞান না থাকে তাহলে
আপনি সেখানে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তাই আপনাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে।
আপনি যদি এই বিষয়ে না জানেন তাহলে এই কন্টেন্টটি পড়লে আপনি এই সকল
বিষয় জানতে পারবেন। অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই কুয়াকাটা কে বলা
হয়। বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায়, কলাপাড়া থানায় অবস্থিত এই
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। আর এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের প্রতি বছর হাজার
হাজার মানুষ আসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
আর পর্যটক এর কাছে এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা নামে পরিচিত লাভ
করেছে। মূলত এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার এবং
প্রস্থ ৩ কিলোমিটার। আরে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দেখতে অনেক
সুন্দর, আর ঢাকা থেকে এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব প্রায় ৩৮০
কিলোমিটার। আর আপনি চাইলেই কুয়াকাটা ঘুরতে যেয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
উপভোগ করতে পারেন।
মূলত এই কুয়াকাটা ঢাকা থেকে যেতে 8 থেকে 10 ঘণ্টা সময় লাগে। আর ট্রেনে
করে যাওয়ার সময়ও আপনি অনেক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি
বাসে করেও যেতে পারবেন। আর এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গেলে আপনি অনেক আনন্দ
করতে পারবেন।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হোটেল ভাড়া
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হোটেল ভাড়া কত এই সকল প্রশ্ন সবার মাথায়
আসে। আর এ প্রশ্নগুলো আপনাদের মাথায় আসা স্বাভাবিক বিষয়। এর কারণ
হলো আপনি একটি জায়গায় যাবেন সেখানে থাকবেন কোথায় এবং খাবেন কি এই সকল বিষয়
আপনাকে জানতে হবে। তো আপনারা যারা জানেন না কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের হোটেল
ভাড়া কত তারা এই কনটেন্টটি পড়ে জানতে পারবেন।
কুয়াকাটার কিছু হোটেল ও ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
1. তাজ হোটেল কুয়াকাটা
- অফ সিজনঃ
- কাপল বেড: 1200/-এসি
- কাপল বেড: 800/- নন-এসি
- ডাবল বেড: 1500/-এসি
- সিজনঃ
- কাপল বেড: 3000/-এসি
- মোবাইলঃ 01756606865
2. হোটেল গ্র্যান্ড সাফা ইন্টারন্যাশনাল
- অফ সিজনঃ
- কাপল বেড: 2000/-এসি
- ডাবল বেড: 2500/-এসি
- সিজনঃ
- কাপল বেড: 3000/-এসি
- ডাবল বেড: 4000/-এসি
- মোবাইলঃ 01314802629
হোটেল নিউ সি বিচ ইন্টারন্যাশনাল
- অফ সিজনঃ
- কাপল বেড: 1500/-এসি
- কাপল বেড: 1200/- নন-এসি
- ডাবল বেড: 1700/-এসি
- সিজনঃ
- কাপল বেড: 3000/-এসি
- ডাবল বেড: 3500/-এসি
- মোবাইলঃ 01327233096
উপরের তিনটি হোটেল সম্পর্কে আমি আলোচনা করলাম ভাড়া সহ
বিস্তারিতভাবে। আপনি যদি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে চান তাহলে এই তিনটি
হোটেলের যেকোনো একটিতে দেখে শুনে আপনি থাকতে পারেন। আর মূলত এর ভাড়া
ডিসকাউন্টও দিয়ে থাকে হোটেল কৃতপক্ষ।
কুয়াকাটাকে সমুদ্র কন্যা বলা হয় কেন
কুয়াকাটাকে সমুদ্র কন্যা বলা হয় কেন আপনি যদি এই বিষয়ে না
জানেন। আর এই বিষয়ে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায়
এসেছেন কারণ আমরা এই কনটেন্টের মাধ্যমে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কন্যা বলা
হয় কেন এই বিষয়ে আলোচনা করব। তো চলুন জেনে নেই
আমরা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এই কুয়াকাটা সমুদ্র
সৈকত।
অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। আর এখান থেকেই
সূর্যাস্ত দেখা যায়। হাজারো পর্যটক এর কাছে এই সমুদ্র সৈকত অনেক
পছন্দের একটি স্থান। আর এই ছোট্ট সমুদ্র সৈকত দেখার জন্য প্রতি বছর
হাজার হাজার মানুষ আসে এই কুয়াকাটা। এজন্যই কুয়াকাটা কে সমুদ্র কন্যা
বলা হয়ে থাকে। আর এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আসলে আপনি প্রকৃতির প্রেমে
পড়ে যাবেন।
কুয়াকাটা যাওয়ার উপযুক্ত সময়
কুয়াকাটা যাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন বিস্তারিতভাবে জানুন। আপনি যদি
কুয়াকাটা যাওয়ার উপযুক্ত সময় সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে আপনি সঠিক
জায়গায় এসেছেন। কারণ আমরা এই কন্টেন্টের মাধ্যমে আলোচনা করব কুয়াকাটা
যাওয়ার উপযুক্ত সময়। তো চলুন আমরা জেনে নেই কুয়াকাটা নৈসর্গিক
সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এটা আমরা সবাই জানি। প্রতিবছরই এই
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।
হাজার হাজার পর্যটক আসে পর্যটন করতে। দেশ ও বিদেশ
থেকেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসে এই কুয়াকাটা সমুদ্র
সৈকতে। প্রতিবছরই অক্টোবর থেকে মার্চ মাস এরমধ্যে কুয়াকাটা
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত হয়ে থাকে। তাই জন্য প্রতিবছর
হাজার হাজার পর্যটন এই অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যেই যাওয়া আসা
করে।
আর আপনি যদি কথাটা সমুদ্র সৈকতে আসার জন্য প্ল্যান করে থাকেন। তাহলে
উপরে যেগুলো হোটেলও নাম নাম্বার দেওয়া আছে সেগুলো থেকে অগ্রিম বুকিং করে
আসতে পারেন। তাহলে আপনাদের অনেক সুবিধা হবে। আর কুয়াকাটা এমন এক
জায়গায় সেখানে আসলে আপনি প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাবেন।
কুয়াকাটা ভ্রমণ গাইড
কুয়াকাটা ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে চান তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন
কারণ আমরা এই কন্টেন্টের মাধ্যমে কুয়াকাটা এবং গাইডলাইন সম্পর্কে আলোচনা
করব। আমরা অনেকেই কুয়াকাটা যেতে চাই পর্যটন করতে। মূলত আমরা
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য ট্রাভেলিং করে থাকি। তো এই কুয়াকাটা
এমন এর জন্য অনেক টাকা লেগে যায় তাই আমরা কম খরচের মধ্যে কুয়াকাটা
যাওয়ার গাইডলাইন নিয়ে এসেছি।
আপনি যদি করেন তাহলে অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন। তো চলুন আমরা
কুয়াকাটাই আমাদের গাইড লাইন সম্পর্কে জেনে নিন। আপনি কুয়াকাটা
যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ঢাকা যেতে হবে। মূলত এই ঢাকা থেকে
কুয়াকাটা দুইভাবে যাওয়া যায় একটি হলো নদীপথ আরেকটি হলো স্থল
পথ। আপনি যদি স্থলপথে যান তাহলে আপনাকে ঢাকার গাবতলীতে বাসে উঠতে
হবে।
তো চলুন আমরা বাসের নাম জেনে নেই সাকুরা পরিবহন, সৌরভি
পরিবহন। আপনি যদি এই সকল পাশে যেতে চান তাহলে আপনার ভাড়া পড়বে 650
থেকে 700 টাকা পর্যন্ত। আর আপনি যদি এসি বাসে যেতে চান তাহলে আপনার
খরচ এক হাজার টাকা করতে পারে।
আর আপনি যদি লঞ্চে যেতে চান। তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম ঢাকায় যে
সদরঘাটে যেতে হবে লঞ্চ টার্মিনালে। সেখান থেকে আপনাকে ভাড়া
পড়বে ৮০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত। আর মূলত এই পটুয়াখালী থেকে
কুয়াকাটার দূরত্ব ১০৮ কিলোমিটার। পটুয়াখালী যে আপনার পাশে করে
বা মোটরসাইকেল করে যেতে আপনার ১২০ থেকে ১৬০ টাকা ভাড়া লাগতে
পারে।
আর আমি এই কনটেন্টে আলোচনা করেছি। যে কুয়াকাটার হোটেল
সম্পর্কে, আপনি যদি এই কন্টাক্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে
কুয়াকাটার হোটেল সম্পর্কে আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। আবার
কুয়াকাটার দার্শনিক স্থান সম্পর্কেও আমি আলোচনা করেছি।
কুয়াকাটার বিখ্যাত খাবার কি
কুয়াকাটার বিখ্যাত খাবার কি রয়েছে। এইগুলো বিষয় আমাদের জানতে
অনেক ইচ্ছা করে। কারন আমরা ভ্রমণের সাথে সাথে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক
ভালোবাসি সে জন্যই আমাদের এই সকল বিষয় জানতে ইচ্ছা করে। কুয়াকাটার
বিখ্যাত খাবার সী ফুড পাওয়া যায়। আর এই সী
ফুড খাবারটি কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতের বিচের খুব নিকটে
অবস্থিত।
এছাড়াও আপনি অনেক খাবার পাবেন। যেহেতু এটি একটি সমুদ্র সৈকত তাই সেখানে
আপনি সামুদ্রিক অনেকগুলো মাছ দেখতে পাবেন। যেমন অক্টোপাস, টোনা
ফিস, সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক চিংড়ি মাছ, সামুদ্রিক
কাঁকড়া ইত্যাদি এগুলো ছাড়া আরো অনেক কিছু মাছ
পাবেন সামুদ্রিক। আর এই মাছগুলো আপনি ফ্রাই করে খেতে অনেক
সুস্বাদু হয়ে থাকে।
আর আপনি যদি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে চান তাহলে আপনি এগুলো খাবার খেতে
পারেন। এগুলো খাবার অনেক সুস্বাদু। আর এগুলো মাছ আপনাকে পিস বা
কেজি হিসেবে বিক্রি করে থাকে আর তারা। আপনি চাইলে কুয়াকাটা সমুদ্র
সৈকতে যেয়ে এই সকল খাবার খেতে পারেন।
কুয়াকাটার বিখ্যাত কি
কুয়াকাটার বিখ্যাত কি এ সকল কিছু আপনি যদি জানতে চান তাহলে আপনাকে এই
কন্টেন্টই করতে হবে। কারণ কুয়াকাটা বিখ্যাত কিসের জন্য বিখ্যাত এই সকল
বিষয় জানার জন্য এই কন্টেন্টটি পড়তে হবে। কুয়াকাটা বিখ্যাত তার
অন্যতম কারণ হলো কুয়াকাটাতে প্রায় ১০০ বছর পুরনো বুদ্ধমন্দির
রয়েছে। তাছাড়াও কুয়াকাটায় রয়েছে ২০০ বছরের পুরনো দুইটি
কুপ।
এছাড়াও আর কি কারণ রয়েছে হিন্দু ও বৌদ্ধদের তীর্থস্থান রয়েছে এই
কুয়াকাটাতে। আর এছাড়াও অন্যতম বিখ্যাত রয়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র
সৈকত। কারণ সেখানে সমুদ্র সৈকত রয়েছে এ জন্যই এই কুয়াকাটা খুব বিখ্যাত
ও জনপ্রিয় একটি স্থান। এখানকার দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে রয়েছে ঝাউ
বন, লাল কাঁকড়ার চর, লেবুর চর, তিন নদীর মোহনা ইত্যাদি।
মূলত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জন্য বিখ্যাত। কারণ কুয়াকাটা সমুদ্র
সৈকতের অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য মানুষ তার প্রেমে পড়ে যায়। সে মানুষ
একবার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গিয়েছে সেই মানুষ বারবার যেতে
চায়। প্রতি বছর প্রায় হাজার হাজার পর্যটক এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে
যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য। তো আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেলেন
কুয়াকাটা কিসের জন্য বিখ্যাত।
কুয়াকাটাকে ভার্জিন বিচ বলা হয় কেন
কুয়াকাটাকে ভার্জিন বিচ বলা হয় কেন এগুলো প্রশ্ন অনেকেই মাথায়
আসে। আর এই প্রশ্নগুলো তাদের মাথায় আসা স্বাভাবিক একটু বিষয়। এর
কারণ হলো কুয়াকাটা তে কেন ভার্জিন বীচ বলা হয় এগুলো আপনাদের
জানতে হবে। মূলত কুয়াকাটা তে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটন
সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য সেইখানে যাই। আর প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের সাথে সাথে সেখানে সারি সারি নারিকেল গাছ রয়েছে।
সেই গাছগুলো দেখে আপনি প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাবেন। সেই গাছের উপরে
নারকেল ও ডাব ধরে আছে তা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে যে একটি সুন্দর সৈকতের পাশে
ডাবের গাছ। এছাড়াও সেখানে বন জঙ্গল রয়েছে আর হাজার হাজার রকমের পশু
পাখি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। সেগুলুন পাখির টা কিচিরমিচির শব্দে
আপনার মন ভরে যাবে এবং অপরূপ সৌন্দর্য এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে
রয়েছে।
তাছাড়াও সমুদ্র সৈকতের জোয়ার ভাটা কিছুক্ষণ পর পর হয়ে থাকে। মূলত এই
জন্যই কুয়াকাটা কে ভার্জিন বিচ বলা হয়ে থাকে। আর এখান করা
সমুদ্র সৈকতের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। তাই
আপনার একবার হলেও কুয়াকাটা থেকে ঘুরে আসা উচিত।
শেষ কথাঃ কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ
কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ বিষয় আপনারা জানতে চান। আমি এই
কনটেন্টটি তা বলেছি, আপনি যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে এই কনটেন্টটি পড়ে
থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ
সম্পর্কে। তো আমি আশা করি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে কন্টেন্ট এ
পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই কনটেন্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে
শেয়ার করুন। এবং এরকম আরো কন্টাক্ট পেতে এই ওয়েব
সাইটে। ধন্যবাদ আজ এতোটুকুই।
এসআর এটুজেড এরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url